স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফক্স নিউজ-র সঙ্গে ছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি জানান, এদিন আবার তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কী ফল এসেছে তা তিনি জানাননি।
তবে তিনি বলেন, তিনি এখন আর কোনো ওষুধ গ্রহণ করছেন না। ‘‘আমি সত্যিই নিজের ভেতর খুব শক্তি পাচ্ছি।”
ট্রাম্প এবং তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ হওয়ার কারণে রিপাবলিক শিবিরের নির্বাচনী প্রচার-সমাবেশ প্রায় থমকে গিয়েছিল। তহবিল সংগ্রহের কাজও বন্ধ ছিল।
ফ্লোরিডার সমাবেশের মাধ্যমে আবার সব শুরু হতে যাচ্ছে। সমাবেশে অংশ নিতে মাস্ক পরে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে সমাবেশ স্থলে ঢুকতে দেওয়া হবে, হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্তও করতে হবে।
কোভিড-১৯ ‘নেগেটিভ’ হওয়ার আগেই তাড়াহুড়ো করে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শুরু করা নিয়ে অনেকেই সমালোচনায় মেতেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনও কিছুটা ব্যাঙ্গাত্মক সুরে ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘ভাগ্য আপনার সহায় হোক। তবে যদি আপনি মাস্ক না পরেন এবং দূরত্ব বজায় না রাখেন তবে আমি আপনার সামনে যাচ্ছি না।”
ট্রাম্পের অসুস্থ থাকার সময় বাইডেন নিজের নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে গেছেন।
রয়টার্সের নতুন একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস মাহমারী নিয়ন্ত্রণ এবং এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার কারণে আমেরিকার জনগণ ট্রাম্পের উপর আস্থা হারিয়েছেন এবং তার গ্রহণযোগ্যতা অনেকটা কমে গেছে।