স্পোর্টস ডেস্ক: রাজশাহী কিংসকে ৬৮ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটানস। খুলনার দেওয়া ২১৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজশাহী কিংস।
মাত্র ১৩ রানেই ফিরে গেছেন রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও লুক রাইট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই মুমিনুলকে বোল্ড করেন শফিউল। আর একই ওভারের পঞ্চম বলে লুক রাইট তালুবন্দি হন আর্চারের। এরপর একে একে ড্যারেন সামি, মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ সামির উইকেটও তুলে নিয়েছেন শফিউল। আর শফিউলের বোলিং তোপে ১৯ ওভারে ১৪৫ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।
রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মেহেদি হাসান মিরাজ (২৯)। খুলনার হয়ে শফিউল পাঁচ উইকেট, আবু জায়েদ রাহি ২ উইকেট এবং মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ও আর্চার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামে বিপিএলের ৩০তম ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়ে খুলনা টাইটানস।
ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ও পুরানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে ৫ উইকেট হারিয়ে রাজশাহী কিংসকে ২১৪ রানের টার্গেট দেয় মাহমুদউল্লাহরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা। তবে পরের বলেই প্রোটিয়া ক্রিকেটার রিলি রুশোকে রান আউট করে সাজঘরে পাঠান জাকির হোসেন।কিন্তু এরপরেই ব্যাটিংয়ে ঝড় তুললেন তরুণ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দুর্ভাগ্য নাজমুলের মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতক বঞ্চিত হলেন এ ক্রিকেটার। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার মারে ৪৯ রান করেন এ ক্রিকেটার।
নাজমুল ফিরে গেলে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেন আফিফ ও পুরান দুজনেই তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। ৩৮ বলে ৫ ছক্কায় আফিফ করেছেন ৫৪ রান। আর পুরান ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৬টি চারের মারে করেছেন ৫৭ রান। রাজশাহীর হয়ে ফ্রাঙ্কলিন ৩টি ও মোহাম্মদ সামি ১টি উইকেট নিয়েছেন।