বিশিষ্ট কলামিস্ট সাহিত্য ম্যাগাজিন ‘জাগরণ’ সম্পাদক, এবিএম ফয়েজ উল্লাহ্ এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া নিচের লেখা।
“সাহিত্য ম্যাগাজিন ‘জাগরণ’ সোনালি স্বপ্নের ফসল”
**** ****- ****** **** ****
কুয়েত থেকে প্রকাশিত “জাগরণ”র ২০ তম সংখার( ৫ম বর্ষ পুর্তি)কিছু ছবি।
বিখ্যাত এই ম্যাগাজিন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ষোলটি দেশে পাঠানো হতো।কুয়েতে তথা মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাভাষা,সাহিত্যের চর্চাক্ষেত্রে অগ্রনীভূমিকা পালনকারী এই বিখ্যাত ম্যাগাজিন এবং সাহিত্য পরিষদ কুয়েত ধ্বংস হয়ে গেলো কিছু ক্ষমতালোভী লোকের চক্রান্তে।
এদের মধ্যে মোহাম্মদ ইয়াকুব ( আজকের সূর্যোদয়) , এস এম মমতাজ(সাবেক সভাপতি,জাতীয় পার্টি), আবদুর রহিম ( সম্পাদক, প্র,সা,প,কুয়েত), রফিকুল ইসলাম ভুলু( ব্যবসায়ী) অন্যতম।১২ বছর ‘জাগরণ’ প্রকাশে এদের ভূমিকা ছিল প্রায় শূন্য। অনেকটা আমার একক মেহনতে,উপদেষ্টা বৃন্দ ও গুটিকয়েক বিজ্ঞাপনদাতার বদান্যতায় এবং আশরাফ সাহেবের লেখা সংগ্রহের মাধ্যমে জাগরণ’ সাহিত্যামোদীদের হাতে পোঁছেছে।
১৯১১ সনে আমি অনেকটা অপমানিত বোধ করে জাগরণ আর সংগঠন দুটোই ছেড়ে দিলাম।
জনাব(!) ইয়াকুব আহ্বায়ক ও এস এম মমতাজ সদস্য সচিব হয়ে প্র,সা,পরিষদ নতুন ভাবে শুরু করার কথা ছিল।
হৃদয়ে চরম আঘাত পেলাম।রক্তক্ষরণ হলো,যখোন নতুন কমিটি ‘ জাগরণ ‘ বের করলো। ৬৪–৮৪ পৃষ্ঠার ‘জাগরণ’র জায়গায় ওয়ান-ফোর সাইজের একপাতা।মানে দুই পেজ।(পোল্ডার)
।লজ্জা এদের কেন হলোনা?
আজ প্র,সা,পরিষদ দুই তিন ভাগে বিভক্ত।জাগরণ – এর খবর নাই। কখনো এক আধ পোল্ডার,কখনো সখনো ২০/২৪ পৃষ্ঠার জাগরণ নাকি বের হয়।
এতোবড় একটা নামকরা সাহিত্য সংগঠন, এতো নামীদামী একটা পত্রিকা গুটিকতক পদ- লোভীর চক্রান্তে প্রায় ধ্বংস হয়েই গেলো।