রসুন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি মসলা রসুন। এতে আছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। যা ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাংগাস প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
দিপশিখা বলেন, “চার থেকে পাঁচটি রসুনের কোয়া একটি কাপড়ে পেঁচিয়ে হালকা করে থেঁতলে শুঁকতে হবে। এতে করে নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
আদা: ঠাণ্ডার সমস্যায় আদার উপকারীতা কারও অজানা নয়।
দিপশিখা বলেন. “আদা চা খাওয়া ঠাণ্ডার সমস্যায় বেশ উপকারী। এছাড়া কয়েক টুকরা আদা থেঁতলে গরম পানিতে ফুটিয়ে ওই ভাপ টেনে নেওয়া যেতে পারে। এই ভাপ গলা ব্যথা এবং নাক বন্ধের সমস্যায় বেশ উপকারী।”
আনারস: আনারসে রয়েছে ব্রোমেলাইন নামক একটি এনজাইম যা গলা খুসখুস হওয়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং কফ সারিয়ে তুলতেও সহায়ক।
হলুদ: প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে হলুদ বেশ উপকারী।
ডা. নুপুর জানান, “বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া এবং হজমের সমস্যার ক্ষেত্রে হলুদ দারুণ উপকারী।”
দিপশিখা জানান, হলুদে কারকিউমিন এবং ভোলাটাইল নামক প্রাকৃতিক তেল থাকে যাতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণাবলী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এই তেল বেশ উপযোগী। কফ এবং খুসখুসে কাশির সমস্যায় এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়।
তুলসি পাতা: দিপশিখা বলেন এক চা-চামচ আদার রসের সঙ্গে তুলসি-পাতা ছেঁচে দিনে দুবার সেবনে উপকার পাওয়া যায়।
কফের সমস্যার ঘরোয়া ওষুধ: আদা কুচি করে কেটে সঙ্গে খানিকটা আদার রস, এক চিমটি হলুদ, কয়েক ফোঁটা মধু এবং এক চিমটি মরিচগুঁড়া মিশিয়ে ছোট আকারের বল তৈরি করতে হবে। কয়েক ঘণ্টা রেখে দিয়ে শুকিয়ে টফির মতো হবে।
দিপশিখা বলেন, “প্রয়োজন মতো এই টফি মুখে পুরে চুষে খেতে পারেন। যা গলা খুসখুস করার সমস্যা কমে আসবে।”