গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার কিছু সংখ্যক বাংলাদেশির মধ্যে হলেন ইব্রাহীম খলিল , রফিক আরো অনেকের অভিযোগের ভিত্তিতেএন্টারপেন মহানগরীর পুলিশ মসজিদটি বন্ধ করে দেয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আলী নূর শামীম, তছু মিয়া, বাদল আহমেদ, আহমেদ শামীম (ত্রিপুরা), গোলাম নবী শ্যামল।
বক্তারা বলেন বেলজিয়াম এন্তারপেন শহরের মুসলিম ভাইয়েরা অর্থলোভী কিছু মোনাফেকের হাত থেকে আপনাদের প্রিয়মসজিদটিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।
কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায়না তেমনি সভ্য দেশে থেকেও কিছু বাঙালী কুলাঙ্গারদের চরিত্র বদলায়না।
বেলজিয়াম এন্তারপেন শহরে প্রবাসী বাঙালী ও ব্যবসায়ীদের টাকায় একটি মসজিদ ক্রয় করা হয় যা ২০০১ সাল থেকে আজ-অব্দি ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলে আসছে, ১৮ বছর ধরে এন্তারপেন শহরের বিভিন্ন দেশের ও বাঙালীদের প্রধান ধর্মীয় মসজিদএইটি। যে মসজিদে গত ১৮ বছর ধরে শত শত বাঙালী ভাইয়েরা মসজিদ উন্নয়ন, আসবাপত্র ক্রয়, মেরামত ও ইমাম মুয়াজ্জিনএবং প্রতি রমজানে ইফতার সেহরী করা, ঈদের নামাজ আয়োজন করা বাবদ মসজিদের (BICAA )বি আই সি এ এ )বাংলাদেশইসলামি কালচার এসোসিয়েশন এন্তারপেন) এর কোষাধ্যক্ষ খলিল ইব্রাহিম এর কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা দান করেছেন, যামসজিদটির পরিচালনা তহবিলে ৭/৮ লক্ষ ইউরো তথা বাংলা টাকায় ৭/৮ কোটি টাকার জমার হিসাব মিলের খোজ পাওয়া যায়নাই। কিন্তু জনাব খলিল ইব্রাহিম কখনোই মসজিদ পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি বা দানকারী অথবা কোন বাঙালীকমিউনিটির মানুষের কাছে কোন হিসাব দেন নাই , কেউ কেউ জানতে চাইলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ বা নানানহুমকি ধামকি দিয়ে অপমান করেন।
খলিল ইব্রাহিম একজন বদমেজাজি আত্ন-অহংকারী, বেলজিয়ামে তার একটি বিবাহ উপযুক্ত অবৈধ কন্যা সন্তান রয়েছেন, যারবৈধতা প্রসঙ্গে এন্তারপেন শহরে নানান দেন দরবার হয় বেশ কয়েক দফায়। মুখোশের আড়ালে খলিল ইব্রাহিম একজনলেবাসধারী রাজনৈতিক সদস্যও বটে, সে দেশে গেলে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে সভা-সমাবেশকরে এবং স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, কিন্তু বেলজিয়াম আসলে নিজেকে সে বিএনপি হিসেবে দাবী করে, সুযোগের সদ ব্যবহার করে, এবং বেলজিয়ামে অবস্থিত বাংলাদেশ থেকে আওয়ামিলীগ ও আওয়ামী পুলিশের নির্যাতনের শিকারহয়ে বহু বাঙালীদের কাছে নিজেকে বিএনপি কর্মি পরিচয় দিয়ে, দেশে তাদের মামলা মুকদ্দমা উকিল ব্যারিষ্টার দিয়ে শেষ করেদিবে বলে, লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে এই খলিল ইব্রাহিম ও তার অনুসারীরা।
প্রবাসে মানুষের গামে রক্তে ভেজা টাকা দিয়ে দ্বীনের কাজে ইসলামের জন্য দান হিসেবে জমা দেন আর সেই টাকাতেই দেশে বাড়িগাড়ি বিশাল অট্রালিকা করে অর্থলোভী বাটপার খলিল ইব্রাহিম রফিকুল ইসলাম আমিরুল ইসলাম ও অসিম সরকার গংরা।
তারা অর্থলোভী কিছু সাঙ্গ পাঙ্গদের হাত করে অনেক সহজ সরল নামাজি মুসল্লি ভাইদের মিথ্যে ভুলবাল বুঝিয়ে তাদের কূচক্রিকলো ক্ষমতা বলে নিজেরাই একটা পকেট কমিটি করে মসজিদের অর্থ লুট করার জন্যে, যা ইতিমধ্যে বেলজিয়াম এন্তারপেনশহরের সকল নামাজি মুসলমানদের কাছে বিতর্কিত হয়। মসজিদটি যখন সুন্দর ভাবে চলতেছে তারপরও খলিল রফিকুলআমিরুল অসিম গংদের কূচক্র থেমে নেই, বর্তমানে এন্তারপেনের মুসল্লিরা যখন রাগে ক্ষোভে ফুসে উঠেছেন তখনি এইকুলাঙ্গার গংরা চুপি চুপি মানুষের হাতে পায়ে ধরতেছেন এবং মানুষদের ভুল-বাল বুঝাচ্ছেন। তাই বেলজিয়াম এন্তারপেন শহরেরসকল ধর্মপ্রান মুসলমান ভাইদের কাছে নিবেদন করছি এই অসাধু কূচক্রি বাটপারদের মায়াজাল থেকে নিজে বাঁচুন এবংআমাদের মসজিদটির অর্থ ও মসজিদটিকে রক্ষা করুন ।
বক্তারা আরো বলেন, শত শত মুসল্লি জুম্মার নামাজ না পরে ফিরে যায় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন, সকলেই এই মসজিদ বন্ধেরসুষ্ঠ বিচার দাবি করেন এবং অতিশীঘ্রই মসজিদ খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ আহমেদ মিঠু, রুবেল, শহিদুল হক, রুবেল, মাসুম পারভেজ, শহিদুল্লা, তাহের খান, আনোয়ার পাটওয়ারী, সুমন, আশিক আহাম্মেদ, আসিফ প্রমুখ।