এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ এসিলেন্ডের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা ও ঘুষের অভিযোগ করায় নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে ভুমিহীন ১০৩টি পরিবার, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের চাকাই গ্রামের ভুমিহীন পরিবারের পক্ষে ফরমান আলীর স্ত্রী মসলেমা বেগম বিউটি গতকাল এক লিখিত অভিযোগে জানায়, কংগরপুর মৌজার ১৬৭ নং জে.এল এর অর্পিত সম্পত্তি সি.এস খতিয়ান ৫৭, এস.এ খতিয়ান ৫৩ এর ১০৪, ১০৭, ১০৯, ৩৫০, ৩৪৬ দাগের সর্বমোট ১৭.০৪ শতক জমি এস.এ রেকর্ড ভুক্ত মালিকের নিকট ক্রয় করিয়া ১০৩টি ভুমিহীন পরিবার পরিবার বসবাস করিতেছে।
জমিটি কিছু সংক্ষক প্রভাবসালী ভুমিদস্যু জবর দখলের চেষ্টা চালালে ভুমিহীনরা জেলা দিনাজপুর যুগ্ন জেলা জজ – ২য় আদালত এ মোকদ্দমা নং ৬৬/২০১৬ অন্য মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।
আদালতে মামলা চলমান কৃত জমি হতে ভুমিহীনদের উচ্ছেদের জন্য প্রভাবসালী ভুমিদস্যুর পক্ষে উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) শারমিন সুলতানা চেষ্টা করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে সোকজ করে। সোকজ এর নোটিস পাওয়ায় তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিটি পরিবারের বাবদ ১০ হাজার টাকা করে ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে।
ভুমিহীন ইব্রাহিম জানায়, টাকা না দেওয়ায় গত ১৬ মার্চ বিকাল ৪ টায় নিজে উপস্থিত হয়ে হুমকি দিয়ে বলে আমার চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে ২/৩দিনের মধ্যে বুলডোজার নিয়ে এসে বাড়ীঘর ভেংঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে। তার এহেনো আচরনের প্রতিবাদে তারা জনপ্রতিনিধি দের নিকট বিচার দিয়েও কোন সুফল না পেয়ে উকিল নোটিস করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসিলেন্ড অফিসে এক কর্মচারি বিজ্ঞ আদালতে মামলা, সোকজ ও উকিল নোটিসের ঘটনা স্বিকার করেন। এ ব্যপারে সরজমিন তদন্তে জানা গেছে, তিনি বীরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর হতে জনসাধারনের সাথে অপব্যবহারের কারনে খাজনা খারিজ করতে পারছেনা। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান কৃত জমিতে বসবাসকারী ভুমিহীন পরিবারগুলো নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। তারা এসিল্যান্ডের অত্যাচার হতে মুক্তি পেতে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।