এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অনাবৃষ্টি ও পানির স্তর নি¤œগামীর কারনে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ব্যহতের আশঙ্কায় হতাশায় কৃষক।
বীরগঞ্জে ভরাবর্ষায় প্রয়োনীয় পানি না হওয়ায় নদি, নালা, খাল, বিলে পানি না থাকায় একদিকে আবাদী জমি ফেটে চৌচির অন্যদিকে ভুগর্ভের পানির স্তর নি¤œগামী যার কারনে নিজস্ব শ্যালো দিয়ে ক্ষেতে পানি দিয়ে ক্ষেতের ফসল রক্ষা করতে পারছে না কৃষকেরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে লক্ষ্য মাত্রা পুরন অসম্ভব হয়ে পড়বে। মরিচা ইউুনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল্লা জানান, বৃষ্টিপাত না থাকায় আমনের চারা রোপনে সমস্যায় পড়েছি। শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে আমন চারা লাগানোর কারনে খরচও দিগুন লাগছে। ভোগনগর ইউনিয়নের কলকুঠি গ্রামের আব্দুর রহমান জানান,তাপদাহের ফলে ক্ষেতে পানি না থাকায় আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। জমিতে বার বার সেচ দেওয়ায় বাড়তি খরচ হলেও ভালো উৎপাদন নিয়েও আশঙ্কায় আছি।
উপজেলা কৃষি অফিস অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ১শত হেক্টর। বর্তমানে উপজেলার ১৫০টি গভীর নলকুপের মাধ্যমে ও কৃষকরা তাদের নিজস্ব শ্যালো মেশিন ও মটর দ্¦াড়া পানি তুলে জমিতে আমন চারা রোপন করছে। আর এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে ২৭ হাজার ৬শত ৫০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. আবুল কালাম আজাদ জানান, আমন ধান বৃষ্টির পানির উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিরিক্ত গরমের কারনে গাছে টিলারিং(বেশী কুশি ছাড়ার) এবং বৃষ্টিপাত নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজন মত না হলে ভালো আমন ধান উৎপাদন ও ফলন কম হবার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। বীরগঞ্জে অনাবৃষ্টি ও পানির স্তর নিমন্নগামীর কারনে
লক্ষ্যমাত্রা ব্যহতের আশঙ্কায় হতাশায় কৃষক|