অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ আজ ২২ শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী।১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ (৭ আগস্ট, ১৯৪১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা সবাই চিনি। পুরো পৃথিবী তাকে চেনে বিশ্বকবি হিসেবে। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম রবি ঠাকুরের। তার বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি আমাদের জাতীয় সংগীতের রচ্যিতা ।
রবীন্দ্রনাথ অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিলেন। কিন্তু নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেওয়া হয়নি তার। ১৭ বছর বয়সে লেখাপড়া করতে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে এসেছেন পড়া শেষ না করেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্য প্রকাশিত হয়েছিল যখন তার বয়স মাত্র পনেরো বছর। কাব্য, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গান- সাহিত্যের সব শাখাতেই বিচরণ করেছেন তিনি। শুধু বড়দের জন্যই লেখেননি, লিখেছেন ছোটদের জন্যও। তিনি ছিলেন সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকার, চিত্রশিল্পী, নাট্যকার, নাট্যপ্রযোজক এবং অভিনেতা।
১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতও তার লেখা। বলা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতও তার লেখা।
সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার মনে হয়েছিল, প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা থাকা উচিত। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘বিশ্বভারতী।’
বাংলা সাহিত্যকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অসামান্য। তাই তো তিনি আজও বেঁচে আছেন আমাদের হৃদয়ে, থাকবেন সবসময়।