অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: অর্থচুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবহৃত কম্পিউটারটি চিহ্নিত করে সিআইডি পুলিশ তা আজ জব্দ করেছে।
সিআইডি পুলিশের তদন্ত দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, তদন্তে প্রয়োজন হলে তারা সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের সাথে কথা বলতে পারেন।
নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের দশ কোটি ডলার চুরি করা হয় গত মাসে।
এর বড় অংশ ফিলিপাইনে গেছে। ফিলিপাইনের সংসদীয় এক কমিটিতে এই অর্থ চুরির ঘটনা নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়েছে। এর ঘটনার জের ধরে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করতে হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানকে।
সিআইডি পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কম্পিউটার থেকে নিউয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে অর্থ লেনদেনের বার্তা পাঠানো হয়েছিল,এবং সেই কম্পিউটারটি তারা চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
অর্থচুরির ঘটনার জের ধরে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
এমন দাবি থেকে সিআইডি পুলিশ কম্পিউটারটি জব্দ করেছে।
সিআইডি পুলিশের তদন্ত দল বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের সাথেও সিআইডি পুলিশ কথা বলতে পারে।
সিআইডি পুলিশের ডিআইজি মো: সাইফুল আলম বলেছেন, অর্থচুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে কীধরনের ঘাটতি ছিল, প্রথমে তারা সেটিই বের করার চেষ্টা করছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এই তদন্ত প্রয়োজন হলে বিদেশী সংস্থার সাহায্য নেয়া হতে পারে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে দেশটির তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের যে কর্মকর্তা রয়েছেন, তার সাথে রোববার সিআইডি কর্মকর্তরা বৈঠক করতে পারে।
ডিআইজি মো: সাইফুল আলম বলেছেন, তারা পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে পারেন।