রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি, জগলুল হুদাঃ প্রবল ইচ্ছা ও অধ্যাবসায় থাকলে গ্রামাঞ্চলের যে কোন বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেও দেশের সেরা মেধাবী শিক্ষার্থীর শিরোপা অর্জন সম্ভব। আমি নিজেও রাঙ্গামাটির একটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে ১৮০৭ সালে পৃথক জেলায় উন্নিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম জেলা সদর ছিল কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা এলাকা। ১৮৬০ সাল পর্যন্ত চন্দ্রঘোনা বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা সদর ছিল। ১৯০৭ সালে এতদাঞ্চলের চিকিৎসা সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরবর্তিতে ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুল প্রতিষ্টা করেন। পরবর্তীতে এটিকে পাহাড়িকা উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়। পার্বত্যাঞ্চলের দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যখন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি তখন থেকেই এই বিদ্যালয়টি পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি বাঙ্গালি জনগোষ্ঠিকে শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। এই অঞ্চলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার পুরোধা এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা প্রয়াত ডা. এস এম চৌধুরী ও তার পুত্র সদ্য প্রয়াত ডা. মং স্টিফেন চৌধুরীর অবদান এখানকার মানুষ চিরদিন স্মরণ রাখবে। তাদের প্রচেষ্ঠায় পাহাড়িকা উচ্চ বিদ্যালয় পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে আলো ছড়িয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা (এনডিসি) গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা পাহাড়িকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসবে প্রধান অথিতির বক্তব্যে একথা বলেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আহমদুল হকের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সেলিম ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব সুদত্ত কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো. সামশুল আরেফিন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াইচিং মার্মা, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম, খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রনজিৎ চাকমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অংসুছাইন চৌধুরী, সংসদ সদস্যের কাপ্তাই উপজেলা প্রতিনিধি মো. ইব্রাহীম খলিল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর নাহার বেগম, সমাজসেবী ইলিয়াজ কাঞ্চন চৌধুরী ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশীদ প্রমূখ।