৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার এক পর্যায়ে একদলীয় বাকশালী একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রূপ নিয়েছিল। এমনি এক প্রেক্ষাপটে মতাদর্শগত কোন্দলে আওয়ামী লীগেরই একটি বৃহৎ অংশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একটি অভ্যুত্থান সংগঠিত করে ক্ষমতা দখল করে।’
‘এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদের ভাবনায় প্ররোচিত হয়ে তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে সেনানিবাসে বন্দি করে।’
বিএনপি প্রধান বলেন, ‘অচিরে দেশবাসী ও সশস্ত্রবাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা উপলব্ধি করতে পারে-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। এরপর ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক বিপ্লব সংগঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হন সিপাহী-জনতা। তারা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন তাদের প্রিয় সেনাপতিকে।’
বর্তমানে বাংলাদেশে বিনাভোটের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দমন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে জনগণের কণ্ঠরোধ করে ক্ষমতায় থাকতে বিভোর হয়ে উঠেছে সরকার। এই দুঃশাসনের অবসান হওয়া জরুরি। এজন্য ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।’