বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখা কর্তৃক আয়োজিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ‘২০১৭’ উপলক্ষে ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০১৭ইং রোজ বুধবার রাত ৯টায় কুয়েত সিটিস্থ রাজধানী হোটেলে কয়েক শতাধিক আওয়ামী নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী নেতা নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা শামছুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা,বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু স্কুল কুয়েতের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদ ইসলাম পাপুল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আশরাক আলি ফেরদৌস,বিশিষ্ট সংগঠক রফিকুল ইসলাম ভুলু, আওয়ামী নেতা আজাদ মিয়া,সাংবাদিক মো: ইয়াকুব,আওয়ামীলীগ কুয়েতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: বাহার উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বাবুল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মনির হুসেন তুষার, সৈনিক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, শ্রমিক লীগ কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ, আওয়ামী নেতা সামছুল হক, আওয়ামী নেতা আকিকুল আম্বিয়া বাহার,তারেক আহমেদ, নজরুল ইসলাম শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েতের সভাপতি মাসুদ করিম,যুবলীগ কুয়েত শাখার আহবায়ক ইমাম উদ্দিন বাদল,মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কুয়েত কমিটির সভাপতি আনিসুল হক, আওয়ামী নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রফিক,সালাম,বরকত,জব্বার সহ নাম না জানা অনেক শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ‘এ আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন।
নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে এ আন্দোলনের মাধ্যমে। অমর একুশে অবিনাশী চেতনা হয়ে পরবর্তীকালে স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের যুগিয়েছে অসীম প্রেরণা ও শক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাংখিত স্বাধীনতা।’
এদিকে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমি আওয়ামীলীগ কুয়েতের সভাপতি হতে প্রত্যাশী নয়, আমি চাই কুয়েতে একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল আওয়ামীলীগ হোক, আর এজন্য আমি কাজ করে যাবো।তিনি বলেন, আমি এখানে বক্তব্য দিতে আসিনি, আমি এসেছি সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাতে ও শেখাতে।
আমি চাই কুয়েত আওয়ামীলীগে শান্তি আসুক, ভুলে যাক সবাই কোন্দল, দ্বিধা ও বিভক্তি।
বিশিষ্ট এই আওয়ামীলীগ নেতা আরো বলেন, কুয়েতে একটি বাংলাদেশী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্ত কতিপয় দুষ্কৃতকারীরা চাচ্ছে সেই স্কুলটি বন্ধ করে দিতে।
কিন্ত আমি শহিদুল ইসলাম পাপুল ঘোষণা দিচ্ছি যে, প্রয়োজনে আমি ১০ কোটি টাকা খরচ করবো; তবুও সেই স্কুলটি বন্ধ হতে দেবো না।
শেষে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও নৈশভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।