নিজস্ব প্রতিনিধি:::: কুয়েতে মহান বিজয় দিবস বিপুল উত্সাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সভাপতি ও মর্ণিং গ্লোরি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাপুলের সার্বিক সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের উদ্যোগে গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার কুয়েতের আব্বাসিয়া এলাকার এক কমিউনিটি সেন্টারে ৪৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ২০১৫ অনুষ্টিত হয়েছে।
ফয়েজ কামাল, সুলতান ফারুক ও আব্দুল হাই ভুইয়ার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত ও দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা’র মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের পরক্ষণে মন মুগ্ধকর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ও প্রধান অতিথিকে ফুলের তুড়া দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, মর্ণিং গ্লোরি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি শহীদুল ইসলাম (পাপুল)
উক্ত অনুষ্টানে কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একপর্যায়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে আসা বহু দর্শকবৃন্দের চরম অসন্তোষ ও বিরক্তিকর মনোভাব পরিলক্ষিত হয় এছাড়াও অনুষ্ঠান সমাপ্তির পূর্বে বসার আসন শূন্য করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে অনেককে দেখা যায়।
এমতাবস্থায় অনুষ্ঠান সফল কি না ব্যর্থ ঠিক এমন প্রশ্ন যখন উক্ত অনুষ্ঠান স্থলেই খুব বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল এবং অনুষ্টান পরিচালনাকারীদের পারফরম্যান্স কেমন ছিল? এহেন একাধিক প্রশ্নে যখন আশপাশের অনেককে বেশ জর্জরিত করেছিল প্রায়; ঠিক তখন এব্যাপারে অগ্রদৃষ্টির কাছে কতিপয় কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বলেন, অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক জনাব শহীদুল ইসলাম (পাপুল) এর আয়োজন,মহৎ উদ্যোগ বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
কিন্তু অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে যাদের দেয়া হলো; যদিও তাদের অনেকেই বেশ শ্রম ব্যয় করেছেন অনুষ্ঠানটিকে পুরোপুরি ভাবে সফল করার অভিপ্রায়ে।
কিন্তু একটি পর্যায়ে সেই শ্রমের বিনিময়ে অর্জনটুকু আশানুরূপ হলোনা; তাও তাদের’ই কতিপয় সহযোগী পরিচালকের অমনোযোগী, অবহেলা ও আভ্যন্তরিক কিছু কোন্দলের কারণে।
এদিকে উক্ত অনুষ্ঠান দেখতে আসা একজন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বললেন, আজ কুয়েতে মহান বিজয় দিবস পালন হলো ঠিকই; কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, পরিচালনাকারীদের অনেকের মধ্যে’ই আশীর্বাদের চেয়ে অভিশাপের মাত্রা ছিল খানিকটুকু বেশি।