অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: এ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী কোনাল বেড়ে উঠেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে। ছোটবেলা থেকেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা বলতেই পাগল ছিলেন তিনি। তাই কুয়েতের বাজারে অবৈধভাবে বাজারজাত করা ভিডিও ক্যাসেটে প্রিয় শিল্পীর গানের ভিডিও দেখতেন। বিটিভিতে প্রচারের সময় সেগুলো ধারণ করে ভিএইচএস ক্যাসেটে অসাধু ব্যবসায়ীরা রপ্তানি করতো।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের উৎসব মিলনায়তনে সিটি ব্যাংক এনএ আয়োজিত ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার সম্মানে তার কালজয়ী গান গেয়ে শোনানোর ফাঁকে একথা জানান কোনাল। ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতায় থাকাকালে এই গায়িকার বিচারক ছিলেন তিনি।
পরিবেশনা শুরুর আগে কোনাল বলেছেন, ‘রুনা এবং লায়লা শব্দ দুটি নিয়ে আমি অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। গায়কী তো আছেই, তার পরিবেশনা, চুলের স্টাইল, শাড়ি পরা সবকিছু অনুসরণ করতাম।’
শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শোনান কোনাল। দেশকে সম্মান জানিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে অনেক গান করেছেন রুনা লায়লা। এর মধ্য থেকে পরিবেশন করা হয় ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যরাগে’।
এরপর কোনাল একে একে গেয়েছেন ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ‘সুখ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘বাড়ির মানুষ কয় আমায় তাবিজ করেছে’, ‘এই বৃষ্টিভেজা রাতে চলে যেও না’।
চিরকুটে লিখে পাঠানো এক শ্রোতার অনুরোধে কোনাল গেয়েছেন ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’। সবশেষে তিনি পরিবেশন করেন ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’। অতিথির আসন থেকেই গলা মিলিয়ে তাকে উৎসাহ দিয়েছেন রুনা। পরিবেশনার শেষ দিকে তার কাছে নেমে আসেন কোনাল।