কুয়েতে আরেকজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এনিয়ে গত এক সপ্তাহে তিন কুয়েত প্রবাসী একাধিক কারণে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
গতকাল ২৯ শে জুন বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের নিকটে বাংলাদেশী দ্বারা পরিচালিত এক মসজিদে ঈমাম হিসেবে দায়িত্ব পালনরত হাফিজ আসাদুজ্জামান (৫০) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
জানাগেছে, নিহত হাফিজ আসাদুজ্জামান প্রতিদিনের মতো এশার নামাজ পড়িয়ে পাশেই বাংলাদেশী দ্বারা পরিচালিত আরেকটি মসজিদে ধর্মীয় আলোচনা সভাতে যোগ দিতে গিয়ে, উক্ত মসজিদের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এদিকে আসাদুজ্জামানকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের প্রবাসীরা নিকটস্থ হাসপাতালে খবর দেন, কিন্তু ততক্ষণে আসাদুজ্জামান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ময়মনসিংহ জেলার, ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের হাফিজ আসাদুজ্জামান ২০০৫ সালে কুয়েতের আল-তয়িক কোম্পানিতে পেশায় একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে এসেছিলেন।
আল-তয়িক কোম্পানির অপারেশন ম্যানেজার মোজাম্মেল হক তারেক জানান, আজ ৩০ শে জুন- আল-তয়িক কোম্পানিতে কর্মরত নরসিংদী জেলার, মনোহরদী উপজেলার চর গোহাল বাড়িয়া গ্রামের আবুল কালাম আমান উল্লাহ্ ফকির নামে আরেকজন কুয়েত প্রবাসী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
আল-তয়িক কোম্পানির অপারেশন ম্যানেজার মোজাম্মেল হক তারেক জানিয়েছেন, সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাফিজ আসাদুজ্জামান ও আবুল কালাম আমান উল্লাহ্ ফকিরের মরদেহ আল-তয়িক কোম্পানি তাঁদের নিজ খরচে দেশে পাঠাবে।
উল্লেখ্য, গত ২১শে জুন কুয়েতের ওয়াফরা এলাকার ৬০০নং রোডে রুহুল আমিন চৌধুরী নামে আরেকজন কুয়েত প্রবাসী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।
রুহুল আমিন গাড়ি ড্রাইভিং অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে, চলন্ত গাড়িটি রাস্তার পাশে থাকা একটি লাইট পোস্টের সাথে ধাক্কা লাগে, আর তখনই রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
ইতিপূর্বে সদ্য নিহত রুহুল আমিনের লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে, পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, নিহত রুহুল আমিনের গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আ হ জুবেদ
সম্পাদক, অগ্রদৃষ্টি
সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন