মধ্য প্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে একের পর এক শ্রমিক অসন্তোষ,ধর্মঘটের ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে।
শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী অাদায় করতে বার বার কর্মবিরতি বিক্ষোভ সহ রাস্তায় নামতে হচ্ছে। মালিক পক্ষের উদাসীনতা আর ভিসার দালালদের দৌরাত্ম্য কুয়েতে চরম আকার ধারন করছে।
দালালদের খপ্পরে পরে বাংলাদেশী শ্রমিকরা ৭ – ৮ লক্ষ টাকা খরচ করে কুয়েতে এসে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। দালালদের মিষ্ট কথায় গ্রামের সহজ সরল মানুষ ভিটেমাটি বিক্রি করে একটু শান্তি আর উন্নত জীবনে বসবাস করার জন্য কত না বুক ভরা আশা নিয়ে এসেছে কুয়েতে। দালালরা মাসিক বেতন ৪০থেকে ৫০ হাজার টাকা আরামদায়ক কাজ সাথে অভার টাইম থাকা খাওয়া কোম্পানি রয়েছে বার্ষিক বোনাস অনেক অনেক সুযোগ সুবিধা।
কিন্তু কথার সাথে কাজের নেই কোন মিল ৩ -৪ মাস যাবত বেতন নেই,কাজ নেই, থাকার জায়গা নেই, পরিচয় পএ বা(আকাম) নেই বহুবিদ সমস্যাদি নিয়ে কোন রকম বেচে আছেন কুয়েতের বাংলাদেশী শ্রমিকরা।
এ দিকে আজ ৯ মে ২০১৭ইং মঙ্গলবার সকাল থেকে কুয়েতস্হ জিলিব আল সুয়েখের আব্বাসিয়া নামক স্হানে বিভিন্ন দাবিতে STSG প্রকাশিত মারকাজ সুলতান নামক কোম্পানির হাজারো শ্রমিক ধর্মঘট পালন করে।
জানা গেছে, ৩ মাস যাবত কোম্পানি বেতন দিচ্ছে না, মাসিক বেতন থেকে প্রতি মাসে কুয়েতি ৫ দিনার কেটে নেয়া হয়,পরিচয়পত্র নবায়নের নামে বছরে ২৭০দিনার যাহা বাংলাদেশী টাকায় প্রায়৭৫ হাজার টাকা দিতে হয়,একটি ছোট কক্ষের মধ্যে ১৫ -১৬ জন গাদাগাদি করে থাকতে হয়,আরো রয়েছে পানির তীব্র সংকটসহ বিভিন্ন দাবী অাদায়ে শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে।
ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানান,তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ে কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক সহযোগীতা ও সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
উল্লেখ্য যে, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবীতে গত ১৬ই এপ্রিল ফাজর আল খালিজ কোম্পানি,২৯ এপ্রিল আল আহলিয়া কোম্পানির হাজার হাজার শ্রমিক একই দাবীতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে।