আ,হ,জুবেদঃ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস,এম আবুল কালাম কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
জাতীয় শোক দিবসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পর বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত এস,এম আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান ও কাউন্সিলর এস,এম মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় মাননীয় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা নাসিমুল গনি স্বপন, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর(শ্রম) সচিব আব্দুল লতিফ খাঁন,পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর আনিসুজ্জামান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিজানুর রহমান।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর সাধারণ আলোচনায় কুয়েত আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য পেশার নেতৃবৃন্দরা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন এবং বাঙালী জাতির জন্য তাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।রাষ্ট্রদূত এস,এম আবুল কালাম তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্নাঢ্য জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন মাত্র ৪৪ মাসের স্বল্প মেয়াদে বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়কদের কাতারে সামিল হন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরো বলেন, অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতীক। তিনি শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা উত্তর আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ের তার প্রজ্ঞা রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি তাকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর রুপকল্প ২০২১ এবং রুপকল্প ২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ বিশেষত সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলায় সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সাথে শাহাদাত বরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।