
গল্প লেখা শুরুর আগেই “শেষের কান্নাভেজা ও মর্মস্পর্শী কাহিনীটির কথা ভেবে খোদ গল্প রচয়িতা কাঁদছেন অবিরত”।
আসলে, ছোট গল্পের রচয়িতা হিসেবে বিষয়টি ঠিক আমার বেলায় ঘটেছে।
৪ কিংবা ৫ বছর বয়সী অবুঝ এক শিশু বিমানবন্দরে বাবার কোলে চিৎকার করে কাঁদছে,কারণ ওর মা তাকে ছেড়ে
গৃহকর্মীর ভিসায় চলে যাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে।
বাবা শত চেষ্টা করেও অবুঝ শিশুকে শান্তনা দিতে পারছেন না। শিশুর মা ততক্ষণে বিমানবন্দরের এন্ট্রি ডোরে চলে গেছেন।
এদিকে, শিশুটি বিরামহীন কান্নাকাটি করছে।
উৎসুক জনতাও এরই মধ্যে জড়ো হয়েছেন। কেউ বলছেন ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তো মা বিদেশে যাচ্ছেন,আবার কেউ বলছেন, জীবিকার তাগিদে অর্থ উপার্জনের জন্য ওই মহিলার স্বামী বিদেশে যেতে পারতেন। আরও অনেক কিছু।
অবুঝ শিশু কান্না করতে করতে প্রায় ক্লান্ত। এবার বাবার চেষ্টা শিশুকে নিয়ে ঘরে ফিরবেন। কিন্তু শিশুটি কিছুতেই মাকে ছেড়ে ঘরে যাবেনা। অবশ্য একসময় বাবা অনেকটা জোর করেই শিশুকে নিয়ে বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করলেন।
জীবন আর জীবিকার তাগিদে বিদেশে যাবেন আপত্তি নেই; তবে স্বামী- সন্তানহীন একজন নারী কেন?
নারী গৃহকর্মীদের বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অতীত ইতিহাস কী বলে?
২০১৯ সালের প্রথম দিকে সৌদিতে নির্যাতনের শিকার ৮০ নারী গৃহকর্মী দেশে ফিরেছিলেন।এছাড়াও প্রতিনিয়ত জিসিসি দেশ গুলো থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে নারীরা দেশে ফিরছেন।
আবার অনেক সময় দুশ্চরিত্রা নারীরাও সেসব দেশে গিয়ে অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন।
বিদেশে পুরুষদের বদলে নারীরা কেন যাবে?
উদাহরণস্বরূপ, একজন পুরুষ বিদেশে যে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন, সেই তুলনায় একজন নারী অর্ধেকের চেয়েও কম পারিশ্রমিক পান।
পুরুষ ঘরে নিরাপদে, নারী কেন তবে বাইরে? কান্না দেখে কাঁদছে হৃদয়, আমি মোটেও হৃদয়হীন নয়।

সম্পাদক, অগ্রদৃষ্টি