আনহার সমশাদঃ শিক্ষায়-পোষাকে মৌলভী ধার্মিক। মার্জিন ব্যবহার, সদালাপী, একজন অসাম্প্রদায়িক উদার মানষিকতায় সচেতক মানুষ। ট্রাভেল ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক সচেতন মানুষ হিসেবে সদা- তৎপর প্রাণবন্ত মতিউর।হজ্ব এজেন্সি পরিচালনার সাথে জড়িত তাই বহুবার পবিত্র হজ্ব পালণ করার সৌভাগ্যবান তিনি।
মৌলভীবাজার ২৪ সম্পাদক অনুজপ্রতিম মাহবুবুর রহমান রাহেল এর অফিসে প্রথম পরিচয় হয়।
পরিচয় শুরুতে মনে যায়গা করে নেয়ার মতো গুন ছিলো তার।
আমার কাছে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে মতিউর রহমান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।
প্রেসক্লাবের বাহিরে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত দের একটি প্লাটফর্ম জরুরী ছিলো। বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগন প্রেসক্লাবে আবেদন নিবেদন করে সদস্যভুক্তি হতে পারছিলেননা। কতিপয় দায়ীত্বশীলদের হিনমন্যতা নতুন ও পুরাতন দের প্রবেশে বাধাগ্রস্ত করা ছিলো পূরনো ঐতিহ্য।মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে বাহিরে থাকা মেধাবী সাংবাদিকদের একিভুত করে রাখার চেষ্টা করি।
অনলাইন গণমাধ্যম কে নাক ছিটকানো পরিস্থিতি থেকে টেনে তুলতে যে কয়েকজন নেতৃত্ব দেন তার মধ্যে মতিউর রহমান ছিলেন অন্যতম।
তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার স্যারে’র উদ্যোগে “অনলাইন প্রেসক্লাব “নামে সারাদেশব্যপী সংগঠন মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
(যদিও বাহিরে থাকা সাংবাদিকদের ইউনিটি’র কারণে পরে ডেকে নিয়ে সম্মানের সহিত সদস্যপদ প্রদান করা হয়)
মতিউর রহমানের সাংবাদিকতা পেশায় খুব বেশী দিন হয়নি।তবে কম সময়ে পরিচিতি ছিল ঈর্ষনীয়।সামাজিক তৎপরতা’র ফলে সকল শ্রেণী পেশা’র মানুষের কাছে প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন।
সামাজিক অসংগতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদে ছিলেন আপসহীন।অনলাইন প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্বের পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে’র সাথে জড়িত ছিলেন।
মতিউর রহমান চার সন্তানে’র জনক।
দুই সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী, এমন কঠিন পারিবারিক প্রতিবন্ধকতায় মতিউর সামাজিক সাংগঠনিক কাজে খুব তৎপর ছিলেন।
একজন দক্ষ সমাজ সচেতন দেশপ্রেমী তার দায়ীত্ববোধ থেকে ভালো কাজে নিজেকে জড়িত রেখেছেন।
ক্ষণ জন্মা মতিউর গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন।চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পারি দিয়েছেন।
দুই প্রতিবন্ধী শিশু সহ চার সন্তান, স্ত্রী, পরিবার, বন্ধুমহল ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে আলাদা হয়ে গেলেন।
মতিউর রহমান আমাদের মাঝে নেই বিশ্বাস করতে পারছিনা।দয়ালু আল্লাহ তাকে বেহেশতের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করুন।সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীগন এতিম শিশুদের সার্বক্ষণিক খোজ নিয়ে নিজেদের মহানুভবতার সাথে জড়িত করি।