জগলুল হুদা: বার আউলিয়ার পটভূমি চট্টগ্রামকে “বা’বুল আল-ইসলাম” বা বাংলাদেশের ইসলামের প্রবেশদ্বার বলা হয়। মহানবী সাঃ এর আগমনের পর তারঁ অনুসারীরা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম আসার পর থেকে এই অঞ্চল থেকে ইসলামের প্রচার প্রসার লাভ করে। মহা নবী সাঃ এর আদর্শ বাস্তবায়ন করা গেলে সমাজ রাষ্ট্র তথা সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সময়ের ব্যপার বলে মনে করেন আবুধাবী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের নেতারা। শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদ অনুমতি দেয়না। যারা ধর্মের দোহায় দিয়ে জঙ্গিবাদ পরিচালনা করছে তারা ইসলাম ও জাতির শত্রু। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়া এই সভা থেকে।গতকাল আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবী কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন ও ৪৪ তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বোয়ালখালী প্রবাসী এস এম সেলিম নেওয়াজ’র সভাপতিত্বে ফটিকছড়ি প্রবাসী সেলিম উদ্দিনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য করেন আবুধাবী কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রাঙ্গুনিয়া প্রবাসী ইফতেখার হোসেন বাবুল। দূতাবাসের প্রথম সচিব জসিম উদ্দিন, শওকত আকবর, নাছির তালুকদার, সৈয়দ লুৎফুর রহমান, জনতা ব্যাংকের ম্যানাজার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা সহ আরো অনেকে। পরে দেশ ও মুসলিম বিশ্বের সুখ-শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এদিকে আরব আমিরাত আবুধাবী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগেও মিলাদুন্নবী সাঃ উদযাপন করা হয়। শান্তির ধর্ম ইসলামের ছায়া তলে দিন দিন মানুষ আশ্রয় নিতে দেখে ইয়াহুদি নাসারারা পাগল হয়ে গেছে। বিশ্ববাসীর কাছে ইসলামকে একটি ট্রেরিজমের ধর্ম হসেবে পরিচয় করে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। অন্ধকারকে দূর করা ও বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করেছিলেন। মানুষ হত্যা তো দূরের কথা তার আদর্শের মাঝে কোথাও মানুষকে কষ্ট দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যাবে না। ইসলামের দোহাই দিয়ে যারা মানুষ হত্যার মিশন হাতে নিয়েছেন তারা ইসলামের দুশমন। ইয়াহুদি নসরাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তারা কাজ করছেন। তাদের এমন কাজ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন আরব আমিরাত আবুধাবী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতারা। গতকাল স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টের হল রুমে কমিটির সভাপতি তৈয়ব খানের সভাপতিত্বে সাধরণ সম্পাদক আবুল হাশেমের পরিচালনায় মিলাদুন্নবী সাঃ উদযাপন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য করেন, এম এ মালেক আল-ফারুক, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হাকিম, শহিদ উল্লাহসহ আরো অনেকে বক্তব্য করেন। পরে দেশ ও মুসলিম বিশ্বের সুখ-শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।