অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন ২২ মার্চ উপজেলা সদরের বিএইচপি একাডেমী কেন্দ্রে মহিলা ও পুরুষ মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের তান্ডবে দু’টি ব্যালট বই খোয়া গেলেও গত ৭দিনেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানা গেছে। ওই ভোটকেন্দ্রে ২নং বাকাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ চলাকালে দুপুরে ওয়ার্ড মেম্বর প্রার্থী এচাহাক পাইকের সমর্থক এবং মহিলা মেম্বর প্রার্থী হাফিজা ইয়াসমিনের দেবর জোর করে দু’টি ব্যালট বইয়ে মোরগ ও সূর্যমুখী ফুল প্রতীকে সিল মারতে শুরু করলে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসাদ খলিফা (ফুটবল) ও সান্তনা বেগম (বই) এর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে উপায়ন্ত না দেখে প্রিজাইডিং অফিসার ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড মেম্বর ও মহিলা মেম্বর প্রার্থীর দু’টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত তার কোন হদিস মেলেনি। ব্যালট পেপার উদ্ধারের ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার কিংবা নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ নেননি বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ছিনিয়ে নেয়া ব্যালট বই উদ্ধারের দায়িত্ব পুলিশের। কেন্দ্র স্থগিত করে রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। কমিশন তারিখ নির্ধারণ করলে পুন: নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।