সিলেট প্রতিনিধিঃ দুই বছরের ব্যবধানে চাকরিতে যোগদান করলেও একসঙ্গে পদোন্নতি হয় সেলিনা রুবি ও মোস্তাফিজ দম্পতির। পুলিশের কনস্টেবল পদ থেকে এক সঙ্গে তাদের পথচলা। এই পথচলাকে আরো নিবিড় করেছে পারিবারিক বন্ধন। পরিবারের সম্মতিতে উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ২০০৭ সালে।
কর্মক্ষেত্রে দুই বছরের সিনিয়র মোস্তাফিজ। তবে দু‘জনের পদোন্নতি হয়ে আসছে এক সঙ্গে। সাব ইন্সপেক্টর পর্যন্ত দু’টি পদোন্নতিও একসঙ্গে হলো এই পুলিশ দম্পতির। ফলে সিলেট পুলিশ প্রশাসনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন তারা।
স্বামী-স্ত্রীর এই শুভ সংবাদে পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা। পদোন্নতির পর এই দম্পতিকে অভিনন্দন জানান ডিআইজি মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
এই পুলিশ দম্পতির কর্মস্থল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা ‘এসবি ডিএসবিতে’। জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, পেশার প্রতি তাদের অগাধ সম্মান। মেধা, প্রজ্ঞার মাধ্যমে তারা লক্ষ্যে পৌঁছুতে অবিচল ছিল। যে কারণে তারা পুরস্কৃত হয়েছে।
যশোর জেলার ভাগারপাড়া গৌড়নগর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ২০০০ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগদান করেন।
আর ২০০২ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন একই উপজেলার ভালুঘর এলাকার শেখ মো. দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সেলিনা বেগম রুবি।
পাশের গ্রামের হওয়ায় চাকরির সুবাদে তাদের পরিচয় থেকে ২০০৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১০ সালে দু’জনে একসঙ্গে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) পদে পদোন্নতি পান।
এরই মধ্যে এই দম্পতির কোল আলো করে আসে এক পুত্র সন্তান। নাম রাখেন সাইয়েদুল মুরসালিন। এবার আরেক মাইল ফলক সৃষ্টি করলেন একই সঙ্গে পদোন্নতি পেয়ে। কাহিনী অনেকটা সিনেমাটিক।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ১৬৯ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে একসাথে তাদের ৠাংক ব্যাচ পরিয়ে দেন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পদোন্নতি পেয়ে ভবিষ্যতে মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই দম্পতি।