ডেস্ক নিউজ: বক্তৃতা দিতে আমার ভালো লাগে না। আমি তরুণদের কথা শুনতে চাই। তাদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রবিবারতরুণ-তরুণীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এভাবেই নিজের কথা বলেন।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর আয়োজনে ‘লেটস টক’ শিরোনামে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানটি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়গুলো জানাতে গিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমি গিটার বাজাতে পছন্দ করতাম। কিন্তু পড়ালেখা ও কাজের চাপে একসময় তা বন্ধ করে দেই। এখন আবার গিটার বাজানো শুরু করেছি।
গিটার বাজানো ছাড়াও কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, কম্পিউটার আমার খুব পছন্দের বিষয়। সুযোগ পেলেই কাজ করি কম্পিউটারে। এ ছাড়াও কম্পিউটার গেম খেলতে পছন্দ করি।
সজীব ওয়াজেদ গান তার খুবই পছন্দ উল্লেখ করে জানান, সুযোগ পেলে তিনি রাগ সঙ্গীত শোনেন। এ ছাড়াও ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন।
পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মাঝে মধ্যেই সিনেমা দেখেন বলে জানান সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, সুযোগ পেলেই পরিবারকে সাথে নিয়ে সিনেমা দেখি। আমার পছন্দ অ্যাকশন ছবি। কিন্তু তাদের পছন্দ ভিন্ন। তাই আমরা তিনজন একসাথে কী সিনেমা দেখব তা বাছাই করতে বেশ কষ্ট হয়। ডিজনির সব সিনেমা আমরা দেখে ফেলেছি।
জীবনে প্রথম সাইকেল পাওয়ার কথা স্মরণ করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, তিনি তখন ক্লাস ওয়ানে পড়েন সম্ভবত। একবার খুব শখ হলো সাইকেলের। এ সময় দিল্লিতে থাকেন তারা। বাবাকে সাইকেল কিনে দেয়ার কথা বলার পর তিনি বললেন, এবার ক্লাসে প্রথম হলে সাইকেল কিনে দেবেন।
সজীব বলেন, জীবনে প্রথম চ্যালেঞ্জ। সেই ক্লাসে প্রথম হয়ে পাশ করার পর বাবা আমাকে সাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। আসলে চ্যালেঞ্জ নিলে তা পূরণের জন্য আরো বেশি কাজ করি আমি। এমনই এক চ্যালেঞ্জ ছিলো হাভার্ডে যখন ভর্তির আবেদন করি। ১৯৯৭ সালে ব্যাচেলর শেষ করার ১০ বছর পর প্রথম আমি কোনো পরীক্ষা দিই। আর সেখানে আমার লক্ষ্য ছিলো ৯৯ ভাগ মার্কস রাখা। আমি সেটা করতে পেরেছি।
নিজ পরিবারের সাথে কাটানো সময় নিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমি কোনোভাবেই বুঝতে পারি না, বাবা-মা তার বাচ্চাকে লালন-পালন না করে কেনো কাজের লোকের কাছে রেখে যান। আমি এখনো আমার মেয়েকে রাতে নিজে পড়াই। আমার স্ত্রী এবং আমি মেয়েকে নিয়ে যাই যখন তার ফুটবল খেলা থাকে। সুযোগ পেলে আমার মেয়েকে ফুটবল প্র্যাকটিসের জন্যও আমি নিয়ে যাই।