নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অবৈধ ভিসা বাণিজ্য বন্ধ, ভুয়া ভিসা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে যথাপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, কুয়েতে আসার পর বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে আকামা জটিলতা, কাজের সমস্যা, আবাসন সমস্যাসহ ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেজন্য কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে।
বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান(এনডিসি,এএফডব্লিউসি,পিএসসি,জি)।
সম্প্রতি নতুন করে কুয়েতের একাধিক কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কর্মী নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ফলে উক্ত কোম্পানি গুলোর সাথে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে আগত নতুন শ্রমিকদের অধিকার , সুযােগ-সুবিধা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নিয়মিত আলােচনা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এসময় দূতাবাস অবহিত হয়েছে যে, আমানা ইউনাইটেড জেনারেল ট্রেডিং এন্ড কনট্রাকটিং কোম্পানির নামে ১৮ নম্বর ভিসায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ।
এক পর্যায়ে দূতাবাসের মাধ্যমে কুয়েতের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, উক্ত কোম্পানির নামে প্রদত্ত ভিসা ভুয়া।
ভুয়া ভিসা ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এদের বিরুদ্ধে যথাপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ভুয়া ভিসা ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রতারিত হলে প্রবাসীরা যেনো সব তথ্য সংগ্রহ করে দূতাবাসকে জানান।
কয়েক বছর আগে জাল ভিসায় কুয়েত আসার কারণে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্মহীন ও আকামা জটিলতায় মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এক পর্যায়ে আকামা জটিলতার কারণে তাদেরকে দেশেও চলে যেতে হয়েছিল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সেরকম ঘটনার পুনরাভিত্তি যেনো না ঘটে এবিষয়ে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।