
আতর আর পারফিউম এর সুগন্ধে মোহিত। বিলাসী জগতের মানুষরা নিজেদের পছন্দের সুগন্ধি খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাজারের দোকান গুলোতে। এই বাজারে পা রাখলেই বাতাসে ভেসে আসা সুগন্ধির ছোঁয়া আর দৃষ্টিনন্দন শপের ডিসপ্লেতে রাখা পণ্য সামগ্রী মন কেড়ে নেয়।
অন্যদিকে, মাতাল করা সুগন্ধে মাতোয়ারা পরিবেশটি জানান দেয় এই সুগন্ধি শহরের বিলাসী ভাব।
১৭ হাজার ৮২০ বর্গকিলোমিটারের আয়তন, পশ্চিম এশিয়ার দেশ কুয়েত। আরবের উত্তরাঞ্চলীয় পারস্য উপসাগরের প্রান্তে এর অবস্থান। এই দেশটির রাজধানী কুয়েত সিটি ও লিবারেশন টাওয়ার এর পাশে “সুক মোবারাকিয়া” নামে পরিচিত ওই সুগন্ধি বাজারটি অবস্থিত।
সুক আল-মুবারাকিয়া কুয়েতের প্রাচীনতম বাজার গুলোর মধ্যে একটি। কুয়েতে তেল আবিষ্কারের আগে এটি ছিল বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। এক সময় সারা বিশ্বের লোকদের দেখার জন্য তাদের শীর্ষস্থানীয় স্থানগুলোর মধ্যে সুক মুবারকিয়া ছিল অন্যতম একটি বাজার, যেখানে লোকেরা ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরে বেড়াতে এবং প্রাচীন জিনিসপত্র, কস্তুরী এবং আউদের মতো পারফিউম, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, ঐতিহ্যবাহী নানা সামগ্রী এখান থেকে সংগ্রহ করতো।

মোটকথা, মুবারকিয়া বাজারটি অতীতের ঐতিহ্য এবং বর্তমানের আধুনিকতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
আর এই সুগন্ধি বাজারে প্রবেশ করা মাত্র মনে হতেই পারে এ যেনো সেখানে আরেকটি ছোট বাংলাদেশ। মার্কেটের প্রায় প্রতিটি দোকানে বিক্রেতা বাংলাদেশি, ক্রেতা প্রায় সবাই স্থানীয় নাগরিক, খুবই কম প্রবাসী ক্রেতারা।
তবে বেশির ভাগ বিক্রেতা বাংলাদেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে, এসব সুগন্ধি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারীরা প্রায় সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।
বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত বহু সুগন্ধি প্রতিষ্ঠান গুলোর সুখ্যাতিও কিন্তু কম বলা যাবেনা। স্থানীয় নাগরিকদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বরাবরই খুবই সম্মানের পাত্র। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথোপকথনে সেটি প্রতীয়মান।
কুয়েতের অতীত ঐতিহ্য এবং বর্তমানের আধুনিকতায় মোড়ানো সকল বয়সী মানুষদের কাছে প্রিয় ও ভালো লাগার এই বাজারে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী যথাক্রমে, আলহাজ্ব জুবের আহমদ, আব্দুল হাই মামুন, শওকত মিয়াসহ অনেকে।
উপরোল্লিখিত সকল প্রবাসী ব্যবসায়িদের দেশের বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়।
তাদের প্রত্যেকেই তিন যুগেরও অধিক সময় ধরে এ ব্যবসায় নিয়োজিত।
সামাজিক সংগঠক, কমিউনিটি নেতা প্রবাসী ব্যবসায়ি আব্দুল হাই মামুন বলেন, ব্যবসায় প্রত্যাশানুযায়ী ক্যারিয়ার গড়তে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। শুরুতে কম পুঁজি দিয়ে শুরু করেছিলাম এ ব্যবসা, এখন তায়েব কুনোজ কুয়েত পারফিউম নামের একটি বৃহৎ কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছি।

আ হ জুবেদ
সম্পাদক, অগ্রদৃষ্টি