বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে জার্মানির বিদায় অবিশ্বাস্য ব্যাপারই। গ্রুপপর্ব চালু হওয়ার পর থেকে তারা পরের রাউন্ডে যায়নি—এমন নজির নেই। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটিই কাল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে। এবারের আসর তো বটেই, বিশ্বকাপের ইতিহাসেরই বড় অঘটন এটি।
প্রথম ম্যাচেই জার্মানির বিপর্যয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল—মেক্সিকোর বিপক্ষে তারা হেরেই শুরু করেছিল বিশ্বকাপ-রক্ষার মিশন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই সুইডেনের বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কোরিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হতো জার্মানির, কিন্তু এখন হেরেই বিদায় নিতে হচ্ছে। কিন্তু এমন কেন হলো জার্মানির? উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী বাংলাদেশের একমাত্র কোচ মারুফুল হক প্রথম আলো ডিজিটালকে জানিয়েছেন জার্মান-বিপর্যয়ের কয়েকটি কারণ স্বাভাবিকভাবেই জার্মান দলে ভালো ফুটবলারের অভাব নেই। কিন্তু দল গঠনে নানা সমস্যা চোখে পড়েছে। ম্যানচেস্টার সিটির লিরয় সানেকে দলে না নেওয়াটা ভুল ছিল। রাশিয়ায় দেখা গিয়েছে জোয়াকিম লোর দলে গোল করার লোকের অভাব। অভাব। সানে থাকলে এমনটা নাও হতে পারত।
প্রথম ম্যাচেই জার্মানির বিপর্যয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল—মেক্সিকোর বিপক্ষে তারা হেরেই শুরু করেছিল বিশ্বকাপ-রক্ষার মিশন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই সুইডেনের বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কোরিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হতো জার্মানির, কিন্তু এখন হেরেই বিদায় নিতে হচ্ছে। কিন্তু এমন কেন হলো জার্মানির? উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী বাংলাদেশের একমাত্র কোচ মারুফুল হক প্রথম আলো ডিজিটালকে জানিয়েছেন জার্মান-বিপর্যয়ের কয়েকটি কারণ
দল গঠনে দুর্বলতা
স্বাভাবিকভাবেই জার্মান দলে ভালো ফুটবলারের অভাব নেই। কিন্তু দল গঠনে নানা সমস্যা চোখে পড়েছে। ম্যানচেস্টার সিটির লিরয় সানেকে দলে না নেওয়াটা ভুল ছিল। রাশিয়ায় দেখা গিয়েছে জোয়াকিম লোর দলে গোল করার লোকের অভাব। অভাব। সানে থাকলে এমনটা নাও হতে পারত।
অভিজ্ঞ ফুটবলারদের ব্যর্থতা
গতবারের বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলে দুটি বড় নাম ছিল—ফিলিপ লাম ও বাস্তেইন শোয়েনস্টেইগার। একজন ছিলেন ফুলব্যাক, অন্যজন মিডফিল্ডার। অভিজ্ঞ এই দুই ফুটবলার পুরো দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এবারের জার্মান দলে সে ধরনের ‘নেতা’ ছিল না।
লোয়ের হাতে টনি ক্রুস, স্যামি খেদিরা, ম্যাটস হ্যামেলস, মেসুত ওজিল ও টমাস মুলারদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলাররা ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপে কেউই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। জার্মান কোচ নিজেও কাঠগড়ায় তুলেছেন দলের অভিজ্ঞ ফুটবলারদের।
মাঝমাঠে সৃষ্টিশীল ফুটবলের অভাব
এবার বড় দলগুলোকে খুব ভোগাচ্ছে কাগজে-কলমে ‘ছোট দল’গুলো। শুধু ঠেকিয়ে দেওয়ার মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমে ঠেকিয়েও দিচ্ছে তারা। বোঝাই যাচ্ছে বেশ অঙ্ক করেই মাঠে নামে দলগুলো। এমন অবস্থায় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভাঙার জন্য যে ধরনের ড্রিবলার ও সৃষ্টিশীল ফুটবলার প্রয়োজন, তা জার্মান দলে দেখা যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়াকে হালকাভাবে নেওয়া
আগের ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পাওয়ায় কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসী ছিল জার্মানি। ফলে তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে হালকাভাবে নিয়ে নিয়েছিল। কোরিয়ানরা যে জার্মানিকে আটকে রাখতে পারে, এই বিশ্বাসটা হয়তো জার্মানদের ছিল না। ফলে সেই খেসারতই দিতে হয়েছে।
প্রতি আক্রমণের সেই ধার নেই
এক সময় জার্মানদের প্রতি আক্রমণ ছিল ভয়ংকর। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে কেবল প্রতি আক্রমণ দিয়েই তারা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপেও খুব কার্যকর ছিল জার্মানদের প্রতি আক্রমণ। কিন্তু এবার সেটি দেখা যায়নি। উল্টো প্রতিপক্ষের প্রতি আক্রমণগুলো ঠেকাতে হিমশিম খেয়েছে জার্মানরা। মেক্সিকো, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া—তিন ম্যাচেই দেখা গেছে প্রতিপক্ষের প্রতি আক্রমণে জার্মান রক্ষণের নড়বড়ে অবস্থা