পাঁচ মাসের ব্যবধানে ১ নভেম্বর তুরস্কে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন। অধিকাংশ ভোটারই আশা করছেন, এ নির্বাচনের পর তাদের দেশে চলমান অস্থিরতার অবসান হবে।
এর আগে গত ৭ জুন তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে জয় পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন ‘আদালেত ভে কালকিনমা পার্টিসি (একেপি)’ বা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
এরদোয়ানের প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও একক সরকার গঠনে ক্ষমতাসীন দল একেপির প্রয়োজন ছিল ২৭৬ আসন, কিন্তু তারা পায় ২৫৮ আসন।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের পর ৪৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল যদি সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়, তবে ফের নির্বাচন আহ্বান করার কথা প্রেসিডেন্টের। এরই অংশ হিসেবে গত ২১ আগস্ট এরদোয়ান নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সে সময়ই তিনি ১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ইঙ্গিত দেন।
দেশটির রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তরুণ ভোটাররাই এবারের নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান চাইছেন তারা। বর্তমান পরিস্থিতি দেশের বাকি সব সমস্যাগুলোকে ছাপিয়ে গেছে।
২৭ বছর বয়সী রাজনৈতিক কর্মী অনিল গোকরেঙ্ক একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জুন মাসের নির্বাচনে আমরা তরুণদের সমস্যাগুলোকে সামনে আনার চেষ্টা করেছি প্রচারণার সময়। কিন্তু এবার তরুণরা শুধুই শান্তি চায়। আমরা যখন আমাদের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীবন্ধুদের দেখি, বুঝতে পারি, তাদের মধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস নেই। সমাজের বাকিদের মতো তারাও ক্লান্ত হয়ে গেছে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জুন মাসের নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা বেশি হবে। দেশের মোট ভোটারের ৮৪ থেকে ৮৬ শতাংশই এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আশাবাদী হয়ে উঠেছে দেশের সবগুলো রাজনৈতিক দলও। একেপি নেতা মুস্তফা আতাস বলেছেন, এরই মধ্যে অনেক ভোটারই নিজ নিজ এলাকায় যেতে শুরু করেছেন।