ম্যানচেস্টার প্রতিনিধিঃ বর্তমান সরকার যখন দেশে বিদেশে তার ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করে তুলতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে তখন বাংলাদেশের সরকারী প্রতিষ্টান ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশন এর দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ কেন উঠবে। বছরের পর বছর অপেক্ষার পরও একজনের গুরুত্ব পূর্ণ কাগজ ফেরত পান নাই। তিনি অনেক দিন ধরে হাইকমিশনে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে পত্রিকার শরণাপন্ন হন। ওল্ডহ্যামের একজন প্রবীণ মুরব্বী প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধা জনাব কাচা মিয়াঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ তিনি রেকর্ডিং ডেলিভারী করে পাঠিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনে । এই গুরুত্ব পূর্ণ কাগজ পাওয়ার পর তারা স্বীকার করেছেন যে তারা কাগজগুলো পেয়েছেন । এখন আবার তারা বলছেন যে উনার কাগজগুলা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও আমাদের কাছে আরোও অনেক অভিযোগ আছে যে গুলি ভবিষ্যতে জনসেবায় তুলে ধরা হবে। সাধারণ মানুষকে যদি প্রশ্ন করেন, ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনের কাজ কি ? ৯৫ ভাগ মানুষ বলবেন, পাসপোর্ট বানানো এবং ভিসা প্রদান। মেনে নিলাম এই দুটাই তাদের কাজ। এই দুই কাজের উপর যদি প্রশ্ন বা জরিপ করেন যে হাইকমিশনের কাজের উপর আপনি কটটুকু সন্তুষ্ট ? বেশীরভাগ মানুষ বলবে ভাল নেই। এর মুল কারণ কি ? প্রথমেই বলি যদি কেউ ফোন করেন, তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিং হতেই থাকবে কেউ ধরার নেই, আর যদি আপনার ভাগ্য ভাল হয় তাহলে কেউ আপনার ফোনটা ধরবে। যদি আলাপ করেন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কতটুকু সহায়ক। কেউ যদি ফোন করেন অবশ্যই প্রয়োজনের তাগিদে একটু সাহায্য পাওয়ার জন্য ফোন করেছেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় যে যতটুকু আশায় ফোন করে, ততটুকু নিরাশা হয়েই ফোন রাখেন। একজন মুসলমান হিসাবে সালাম পাওয়া তো দূরের কথা, অনেক সময় সালাম দিলেও আলেখ পাওয়া যায় না। অথচ এদেশের অফিস আদালতে যদি আপনি যান বা ফোন করেন অবশ্যই আপনাকে বলবে, “গুডমর্নিং স্যার/ম্যাডাম” ফোনের অপার থেকে যে কথা বলছে সে জানেই না আপনার পরিচয়, আপনি কে? অথচ তাঁর মনে প্রাণে একজন দায়িত্বশীল অফিস কর্মচারী এবং যে ব্যাক্তি ফোন করবেন বা অফিসে আসবেন অবশ্যই তিনি সম্মানী। তাঁকে সম্মান করে কথা বলবে এবং অত্যন্ত সন্তুষ্ট জনক সেবা প্রদান করবে। এই মন মানসিকতা বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মচারীদের নেই। বর্তমান যখন সরকার দেশে বিদেশে তার ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করে তুলতে ব্যস্ত ঠিক সেই মহুর্তে ম্যানচেস্টার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মচারীদের এই সব কাজকর্ম সরকারের জন্য কি বয়ে আনবে ? এই ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনারে গত ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ফোন করা হলে প্রথম বার সকাল ১১ঘটিকায় কেউ ফোন ধরে নাই, দ্বিতীয় বার বিকাল ৩ ঘটিকায় ৩১মিনিট অপেক্ষার পরও কেউ ফোন ধরে নাই ।