ভারতের ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট অচল ঘোষিত হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন কালো টাকা এবং জাল ভারতীয় নোট উদ্ধার করতেই এই সিদ্ধান্ত।
রোজই সমস্ত ব্যাঙ্ক আর এটিএমের সামনে পড়ছে লম্বা লাইন – কেউ নোট বদল করবেন, কেউ নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলবেন। তা নিয়ে চলছে হাহাকার।
অন্যদিকে, জমিয়ে রাখা অচল নোট নিয়ে কী করবেন, সেটা ভেবে না পেয়ে অনেকেই সেগুলো নষ্ট করে ফেলছেন অভিনব উপায়ে।
কোথাও বস্তা ভর্তি অচল নোট নদীতে বা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের বেরিলি থেকে যেমন খবর পাওয়া গেছে বস্তা ভর্তি অচল নোট পুড়িয়ে ফেলার, তেমনই ওই রাজ্যেরই মির্জাপুরে গঙ্গা নদীতে স্নান করতে গিয়ে অনেকে আবিষ্কার করেছেন প্রচুর অচল নোট ভেসে যাচ্ছে।
মির্জাপুরের পুলিশ বলছে, নদীতে স্নান করার সময়ে প্রথমে কেউ কেউ ওগুলোকে মাছ ভেবেছিলেন, তারপরে তাদের মনে হয় শ্যাওলা। কিন্তু কাছে আসতে দেখা যায় অচল ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট ওগুলো। যতগুলো সম্ভব উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে।
ভারতের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম একটু মজা করে লিখেছে যে কেউ হয়তো পাপ স্খালনের জন্য গঙ্গায় নোটগুলো ভাসিয়ে দিয়েছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, গঙ্গায় স্নান করলে পাপ স্খালন হয়।
আবার কলকাতায় দিন কয়েক আগে ডাস্টবিন থেকে পাওয়া গেছে দুই বস্তা অচল নোট।
যাদবপুর থানার পুলিশ বলছে, গল্ফ গার্ডেন এলাকা থেকে তারা খবর পেয়েছিল যে একটা ডাস্টবিনে ছেঁড়া নোট পড়ে রয়েছে প্রচুর সংখ্যায়। সেখানে গিয়ে দুবস্তা নোট উদ্ধার করা গেছে, সব নোটগুলোই কাঁচি দিয়ে কাটা বলে মনে হচ্ছে।
এক ব্যক্তি ময়লা থেকে কাগজ কুড়োতে গিয়ে ওই নোটগুলো খুঁজে পেয়েছিলেন।
মহারাষ্ট্রেও ডাস্টবিন থেকে এক কাগজকুড়ানি প্রায় ৫০ হাজার অচল নোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে।