এন. আই. মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ২ কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে শিক্ষক ও কর্মচারী ইউনিয়ন স্মারক লিপি প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়ন গত বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে। স্মারক লিপি প্রদানকালে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, সাধারন সম্পাদক বিপুল চন্দ্র রায়, ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আব্দুল আজিজ, বটতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আহশান হাবিব সহ শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সাস্মরক লিপিতে উল্লেখ করা হয় গত সোমবার স্কুল চলাকালিন সময় বিকেল ৩ টায় থানার এসআই আনোয়ার হোসেন, মশিউর রহমান ও ডিএসবি পুলিশ গোলাম মোস্তফা বটতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে অফিস সহকারী আব্দুল লতিফকে গ্রেফতার করে। পুলিশ শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতিতে মানবাধিকার লংঘন করে শিক্ষককে মারপিট করে ও পিটতে পিটতে থানায় নিয়ে আসে। থানায় নিয়ে এসে শিক্ষকের পরনের সার্ট দিয়ে চোখ বেঁধে থানা হাজতে আটকিয়ে বেদম মারপিট ও অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করেছে। এতে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ভীতির সৃষ্টি হয়। সেই কারনে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
অন্যথায় ২০ এপ্রিল সকালে মুক্তিযোদ্ধা নাম ফলক চত্বরে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন, প্রতিবাদ সভা। ২২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২ঘন্টা কর্মবিরতী পালন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ২৩ এপ্রিল থেকে লাগাতার ক্লাস বর্জন কর্মসুচী পালনের ঘোষনা করা হয়েছে।
এব্যাপারে, পুলিশের এস.আই আনোয়ার হোসেন জানায় বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের চকপাতলা গ্রামের মৃত সেফার উদ্দিনের পুত্র আফছার আলী বাদী হয়ে গত ০৭/০৪/১৭ ইং তারিখে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ২। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে ১৭ এপ্রিল বিকাল ৩.৪৫ মিনিটে আমি ঐ দিকে গেলে সে বিদ্যালয়ের পিছনের ভুট্টা ক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে তাকে আটক করা হয়। মারপিট ও নির্যাতনের ঘটনা এবং শিক্ষক কথাটি মিথ্যা। তিনি অফিস সহকারী মাত্র। তবে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই