শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মহামারী টাস্কফোর্স বিদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় ফিরতে দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
মালয়েশিয়ার প্রধান শিল্পখাত পাম তেল উৎপাদনের বাগানগলোতে গাছ লাগানোর কাজ এবং রাবার গ্লাভস তৈরির কারখানাগুলো বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের বহু শ্রমিক এসব শিল্পে কাজ করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় ৬ লাখের মতো বাংলাদেশি থাকেন। তাদের কাছ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২৩ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে আসে।
গতবছরের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হলে প্রবাসে থাকা অনেক শ্রমিকের মতো মালয়েশিয়া থেকেও ফিরে আসেন অনেক বাংলাদেশি। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার বিদেশিদের ফেরার পথ বন্ধ রাখায় তারা বিপাকে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি বলেন, “বিদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে গাছ লাগানোর কাজের জন্য, একটি পদ্ধতির বিষয়ে আজ সম্মতি দিয়েছে ‘স্পেশাল কমিটি অব প্যানডেমিক ম্যানেজমেন্ট’।
তবে অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে প্রবাসী শ্রমিকদের কোটা এবং তাদের প্রবেশের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
রয়টার্স লিখেছে, গ্লাভস এবং আইফোনের যন্ত্রাংশ তৈরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে বৈধ তালিকায় থাকা প্রায় ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজ করে।
মহামারীর কারণে শ্রমিক সঙ্কটে পড়েছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়া। গত মাসে দেশটির সরকার জানিয়েছিল, পাম বাগানের কাজে ৩২ হাজার শ্রমিককে ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
রাবার গ্লাভস শিল্প মালিকরাও এবছর এবং আগামী বছরের জন্য বিদেশি শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল।
আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি গ্রীষ্মপ্রধান লঙ্কাউই দ্বীপে বিদেশি কিছু পর্যটককে অবকাশ যাপনের অনুমোদন দেবে মালয়েশিয়া। মহামারীর পর প্রথমবারের মত এর সীমান্ত বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি জানান, কোভিড টিকার ডোজ সম্পন্ন করা বিশেষ পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে মালয়েশিয়া।
তিনি জানান, পর্যটকদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ থাকতে হবে এবং তাদের ৮০ হাজার ডলারের ভ্রমণ বীমাও থাকতে হবে।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম