অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেবার ঘটনায় অন্তত ২০ জন বিদেশী নাগরিক জড়িত ছিল বলে চিহ্নিত করেছে সিআইডি পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা ওই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করে হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে এ অর্থ যায় শ্রীলংকা এবং ফিলিপাইনের দুটি ব্যাংকে।
পরে শ্রীলংকায় প্যান এশিয়া ব্যাংকে জমা হওয়া দুই কোটি ডলার আটকে দেয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন।
সিআইডির তদন্ত দলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “বিভিন্ন দেশের ২০ জন লোককে আমরা চিহ্নিত করেছি – তাদের নাম এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেয়েছি – যারা এ ঘটনায় জড়িত বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি।”
এই বিদেশীরা কোন দেশের তা আলম বলতে রাজি হন নি।
শাহ আলম জানান, এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের সময় তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সংস্থার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছেন।
“আমরা দেখেছি যে বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তি, সংস্থা, এবং এজেন্সি আইটি সুরক্ষার ক্ষেত্রে ন্যূনতম পেশাদারিত্ব দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের আমরা চিহ্নিত করে সন্দেহভাজনদের তালিকায় এনেছি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছি।”
“কি ধরণের ভুল তারা করেছে তা আমরা জানি। তাদের কর্মকান্ডের কারণে হ্যাকার বা চোর যাই বলুন – তারা সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু টাকাটা যাদের হাতে গেছে – তাদের অপরাধমূলক কাজের সাথে বাংলাদেশের কেউ সম্পর্কিত ছিল কিনা সেটাই এখন জানার চেষ্টা চলছে।
এই অপরাধের প্রমাণগুলো বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, এবং সে কারণেই তদন্তকাজে তারা ইন্টারপোল এবং এফবিআই সহ বিশ্বের নানা দেশের সংস্থার সহায়তা পাচ্ছেন বলে জানান আলম।