বাংলাদেশের মতো প্রবাসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটিকে স্মরণ করেছেন।
জাপানে বিজয় দিবস উদযাপন
টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় ও নানাবিধ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ৪৮ তম বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা পতাকা উত্তোলন করেন। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়। এসময় রাষ্ট্রদূত সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যদের, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীর নারীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের জন্য মডেল। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি সবাইকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং জাপানে বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান।
পরে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি ও জাপানি নাগরিক।
ভিয়েতনামে বিজয় দিবস উদযাপন
ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকতা ও কর্মচারীগণ, ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। মহান মুক্তিসংগ্রামে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, অগণিত শহীদ এবং মহিলা মুক্তিযোদ্ধা, যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবন ও সম্ভ্রমহানী এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন তিনি। পরে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র ‘‘Bangladesh: A Golden Tomorro’’ প্রদর্শন করা হয়।
দিল্লীতে বিজয় দিবস উদযাপন
ভারতের নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ৪৮তম বিজয় দিবস পালন করেছে। হাই কমিশন মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন ও ভারতীয় যেসব সৈন্য বাংলাদেশের মুক্তিসেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তাদের আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। ডেপুটি হাই কমিশনার এ.টি.এম রকিবুল হক অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের মহান বিজয় দিবসের বাণীসমূহ পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সাজানো হয়। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। নয়াদিল্লীতে হাইকমিশন দিবসটি উদযাপনে সোমবার এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করবে। ব্যাংককে বিজয় দিবস উদযাপন
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। এছাড়া জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের মহান বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। পরে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ব্যাংককে বিজয় দিবস উদযাপন
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। এছাড়া জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের মহান বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। পরে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেদ্দায় বিজয় দিবস উদযাপন
নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন। কনস্যুলেট চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন প্রবাসীরা। আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয় কনস্যুলেট ভবনকে। কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন বিজয় দিবস উপলক্ষ আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর