মোঃ আরিফ জাওয়াদ, দিনাজপুর:- ঢাক-ঢোল, বাদ্য-বাজনা আর আরতির মধ্য দিয়ে ভক্তকুলকে কাঁদিয়ে মর্ত্য থেকে প্রস্থান করলেন জগতের মহাশক্তি মহামায়া ও দুর্গতিনাশিনী দেবীদুর্গা। আর সেই সঙ্গে মা দেবীদুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে শেষ হল সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব।
অশ্রু সিক্ত নয়নে মাকে বিদায় জানিয়ে তার রোগ-শোকমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ জীবন পেতে দেবীর আশীর্বাদ কাছ থেকে আশির্বাদ নেন ভক্তরা।
দশভুজা দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত ৭ই অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে পাঁচদিনব্যাপী দুর্গাপূজা চলে।
ষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পর্যায়ক্রমে ৮ই অক্টোবর (শনিবার) মহাসপ্তমী, ৯ই অক্টোবর (রবিবার) মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ১০ই অক্টোবর (সোমবার) মহানবমী এবং ১১ই অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শাস্ত্র মতে, এবার আশুর বিনাশী দেবী দুর্গা ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে হিমালয়ের কৈলাশের শ্বশুরালয় থেকে পিত্রালয় মর্ত্যে এসেছিলেন এবং পিত্রালয় ত্যাগ ও করলেন ওই একই বাহনে।
প্রসঙ্গত, এ বছর দিনাজপুরের সদর উপজেলায় ১১৩টি, বিরলে ৯৪টি, বোচাগঞ্জে ৮৬টি, কাহারোলে ১০০টি, বীরগঞ্জে ১৫১টি, খানসামায় ১২০টি, চিরিরবন্দরে ১৫০টি, পার্বতীপুরে ১৪৬টি, ফুলবাড়ীতে ৫৫টি, বিরামপুরে ৩৫টি, নবাবগঞ্জে ৮০টি, হাকিমপুরে ১৭টি, ঘোড়াঘাটে ৩৭টি এবং দিনাজপুর পৌরসভা এলাকায় ৩৪টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি পারিবারিক উদ্যোগে পুজা অনুষ্ঠিত হয়।