জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া ঃ সারি সারি নারী পুরুষের দীর্ঘ লাইন। পড়ন্ত দুপুর। সবার মাঝে ক্ষিধের টান তার উপর নিজেকে একটু কালী সাধনে হাজিরা দেখার অপেক্ষার জন্য লাইনে বসে আছে ওমান থেকে ফেরত পদুয়ার জয় নগরের আবদুল খালেক (৪৯) সাথে তার স্ত্রী রহিমা খাতুন। তার পেটে পাথর জমেছে, প্রচন্ড ব্যাথার কারণে বিদেশ থেকে চলে আসতে হয়েছে। এ রোগ কালী সাধনের মাধ্যমে দুর করা সম্ভব বলে জানালেন পদুয়া ইউনিয়নের দ্বারিকোপ এলাকার বৈদ্য শেলী দে (৩৬) । লাইনে অপেক্ষমাণ আনোয়ারা থেকে আসা রোগী টাবু সিং, হাটহাজারী বুড়িশ্চর এলাকার আহমদ উল্লাহ, খুরুশিয়া থেকে আসা জান্নাত(৩৬) তারা বৈদ্যের কাছে এসেছেন চিকিৎসা নিতে। এসব রোগীর মধ্যে কারো থেকে ৫শ আবার জটিল হলে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কালি সাধন করে গত ৪/৫ বছরে ব্যাপক অর্থের মালিক হয়েছেন। সবাইকে একই মন্ত্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২শ আড়াইশ রোগী দেখেন। তার আসনে রোগীদের থেকে হাতিয়ে নেওয়ার টাকার বড় ধরনের স্তুপে বলে দেয় প্রতিদিন সে কত টাকা হাতিয়ে নেয়। মেয়ের বিয়ে হচ্ছেনা বছরের পর বছর। শেলীদে কালী সাধনের মাধ্যমে বান কাটালে বিয়ে হয়ে যাবে সে আশায় অনেক যুবতী মহিলারা বসে আছে। বাঙ্গাল হালিয়া থেকে দিলিপ মার্মা (৩২) তার মদের দোকানে বেচাবিক্রি বাড়ানোর জন্য এসেছেন। তাকে বৈদ্য শেলী দে একটি শিশিরে মন্ত্র পড়ে পানি দিয়ে বলে এখন থেকে তুর দোকানে বেচাবিক্রি ভাল হবে। ক্যান্সার, পেটে পাথর, শরীরের নানান জটিল রোগ তিনি ১ সপ্তাহের মধ্যে নিরসন করা সম্ভব আবার স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য, বিদেশে যেতে পারছেনা, কারো সাথে সম্পর্ক করে দেওয়াও তার দ্বারা সম্ভব বলে জানান শেলী দে।
একটি পুরনো মন্দিরে শেলী দে গায়ে লাল সালু পড়ে এবং মাথায় লাল সালু পেচিয়ে অনায়াসে নানা বয়সের নারী পুরুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। মন্দিরে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় ব্যাক্তিদের ছবি টাঙ্গিয়ে আসনে বসে ঝাড় ফুঁক, তাবিজ, পানি পড়া বান কাটা, সাথে রোগীদের থেকে টাকা নেওয়া একাই সারছেন। তিনি নিজের পেটে কালি জন্ম দিয়েছেন বলে দাবী করেন। তার ঘরে জন্ম নেওয়া যুবতী মহিলার মূখের জিহব্বা বাহিরে দীর্ঘ লম্বা থাকায় তার মেয়েকে কালি বলে তিনি দাবী করেন।
কৈদ্য শেলী দে জানান,আমার এখানে কাউকে ডাকছিনা। যারা আসে তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। আমি কালি সাধনের মধ্যে সকল চিকিৎসা করে থাকি। শত শত মানুষ উপকার পাওয়ার পর এখানে আসছে। পত্রিকায় দিরে রোগী আরো বেশি হবে।
্এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বদিউল আলম জানান, আমার রোগ হলে আমি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে যায়। মানুষ তো আর বুঝেনা। বৈদ্যে মহিলা থেরক শত শত মাসুষ প্রতারিত হচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। । এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা জরুরী প্রয়োজন।