খেলাধুলা ডেস্ক: বার্সেলোনা থেকে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিশ্বরেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে কেন কিনেছে পিএসজি , সেটা আবারও বুঝিয়ে দিলেন নেইমার জুনিয়র। ফরাসি লীগ ওয়ানের দ্বিতীয় ম্যাচেও তিনি দেখালেন নিজের ঝলক। করলেন দুই গোল। তাতেই পিএসজি ৬-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে তুলোসের বিপক্ষে।
পিএসজির মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে শুরু থেকেই ছিল নেইমার আর স্বাগতিকদের ঝলক। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে নেয়া তার দুরন্ত শট অল্পের জন্য বার উচিয়ে যায়। যদিও ১৮ মিনিটে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই ম্যাক্স গারডেলের গোলে এগিয়ে যায় তুলোস। ২৫ মিনিটে তার আরেকটি দারুণ হেড চলে যায় পোস্টের একেবারে পাশ দিয়ে।
কিন্তু ৩১ মিনিটে ঠিকই গোল করেন নেইমার। অনেকটা বাইরে থেকে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ে সতীর্থ আন্দ্রে র্যাবিওকে পাস দেন নেইমার। কিন্তু র্যাবিওর শট প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে পাল্টা শটে গোল করেন নেইমার। ৩৫ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে আর ভুল করেন নি ফ্রেঞ্চম্যান র্যাবিও। তার গোলেই ২-১ এ এগিয়ে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে তুলোস অধিনায়ক ক্রিস্টোফার জুলিয়ানকে ধাক্কা মেরে লাল কার্ড দেখেন মার্কো ভেরাত্তি। দশ জন নিয়েও শেষ পনেরো মিনিটে দুর্দান্ত ছিল পিএসজি। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড এডিসন কাভানি।
তিন মিনিট পরেই প্রতিপক্ষের কর্নার থেকে নিজের জালেই বল জড়ান থিয়াগো সিলভা। ফলে ম্যাচে তুলোস ব্যবধান কোমায় ২-৩ এ। ৮২তম মিনিটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে দুর্দুান্ত এক শটে চতুর্থ গোলটি করেন হাভিয়ের পাস্তোরে। ৮৪ মিনিটে নেইমারের কর্নারে উড়ে আসা বলে দারুণ ভলিতে গোল করেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডার লেইভিন কুরজাওয়া।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে নেইমারের করা নিজের দ্বিতীয় গোলটি ছিল চেয়ে দেখার মতো। বক্সের মধ্যে চারজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে গোলটি করেন এই ব্রাজিলিয়ান। শেষ পর্যন্ত ৬-২ গোলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে নেইমারের দল। নেইমারের এই নিয়ে দুই ম্যাচে করলেন তিন গোল।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই