ঢাকা: দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র, তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। দেশকে এগিয়ে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হই। উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই, কাজ করি। জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত আর জাতীয় স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাই।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার’ শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ডাক দেন। সভাটির আয়োজন করে সুচিন্তা বাংলাদেশ।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, শুধু তাদের বাদ দেবো যারা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও যুদ্ধাপরাধী। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসী-জঙ্গিরাও। তাদের আমি চাই না। আর যারা যুদ্ধাপারাধীদের ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় পতাকা দিয়েছেন, জঙ্গিদের আশ্রয় দেন, প্রশ্রয় দেন তাদের আমি চাই না। এছাড়া আসুন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় দু’টো কাজ করলো। জয় বাংলা আওয়ামী লীগের স্লোগান নয়- কিন্তু তারা আরেকটা স্লোগান দাঁড় করালো। সেই পাকিস্তানের স্লোগান জিন্দাবাদ দাঁড় করালো। বিএনপি ক্ষমতায় এসে জোর করে, নতুনভাবে জাতির পিতা দাঁড় করানোর চেষ্টাও করলো। জাতীয় পতাকা যে পাল্টে ফেলেনি, জাতীয় সংগীত যে পাল্টে ফেলেনি এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত তাদের! কেননা, বিএনপি আরও ক্ষমতায় যদি থাকতো, তবে ঊর্দুতে জাতীয় সংগীত গাইতে হতো আমাদের।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে কোনো আপোস নয়। যুদ্ধাপারাধীদের বিচার নিয়ে কোনো আপোস হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মধ্যেই কতো সন্দেহ! কাদের মোল্লার যখন যাবজ্জীবন হলো- আমাদের মধ্যেই এতো মানুষ হতাশ হলেন। অনেকেই বলতে লাগলেন যে- আওয়ামী লীগের জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। এটি কি বিশ্বাস করা সম্ভব আওয়ামী লীগ, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করে ফাঁসি দেবে না? সবচেয়ে বেশি সাকার বিচার নিয়ে হতাশা ছিল, ভয় ছিল অনেকের। কেননা, এতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ছিল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম বিচার কবে হবে, রায় করে হবে। একবার যখন ফাঁসির রায় এসে গেছে, তখন বোধহয় আর সন্দেহ ছিল না, এবার ফাঁসি হবেই হবে। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ফাঁসির রায় কার্যকর করবেনই। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই সেটা রুখে দেবে।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সাকা-মুজাহিদ পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন, এটা পাকিস্তান প্রমাণ করে দিয়েছে। একাত্তরে মানুষ হত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এজন্য তাদের কাছে অফিসিয়ালি দাবিও করা উচিত।
জয় বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে যা দেখেছি, স্বাধীনতার চেতনার বিশেষজ্ঞ যারা- তাদের মেধা বুদ্ধি জানাতে তারা কিন্তু আওয়ামী লীগের ভুল ধরতে চেষ্টা করেন। যতো ভালোই করি- তাদের কথা হচ্ছে আরও করা উচিত। আরও করা যেতো। হ্যাঁ, যতো ভালোই করি না কেন, আরও ভালো করা যায়। কোনো কিছুই ১০০ শতাংশ ভালো হয় না। এমন কেউ কি আছেন ভুল হয় না। আরও ভালো করবো এর মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবো।
যারা সব সময় ভুল ধরেন এবং সুশীলদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কাজের সময় কিন্তু ভালো মানুষ পাওয়া যায় না। বুদ্ধিজীবি, সুশীলদের বলবো-আসুন কাজ করুন, বসে আছেন কেন?
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আজ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলেও দেশ এগোয়নি। কেননা, তারা বাংলাদেশ চায়নি, তাই উন্নয়ন করেনি। তাই আমি ডাক দিতে চাই- স্বাধীনতার চেতনায় যারাই আছেন, এর বাইরে সুশীল যারা আছেন- আসেন বাংলাদেশের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হই।