
কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় কুয়েতের মিসিলা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এর পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এন আই ডি) প্রদানের প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ১০ সদস্যের একটি কারিগরি দল, কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারী, কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
চল্লিশটি দেশে এনআইডি কার্যক্রমের আওতায় এক কোটি চল্লিশ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিকে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
এরই ধারবাহিকতায় এবার কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসেও শুরু হতে যাচ্ছে এনআইডি ) প্রদানের কার্যক্রম।
ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এন আই ডি) প্রদান সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলছিলেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
তাঁরা আরো বলেন, প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে এক অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন, অবশ্যই তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার এনআইডি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। বিশ্বের অনেক দেশে এখনও বায়োমেট্রিক দিয়ে পাসপোর্ট প্রদান শুরু হয়নি। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট, এনআইডি কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।”
জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে তাঁরা বলেন, প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস নিয়ে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আসলে, নিশ্চয় দূতাবাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আপনাদের সাহায্য করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলে কী ধরনের ডকুমেন্টস নিয়ে আসতে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে অনলাইনে আবেদন, জন্ম নিবন্ধন,বৈধ পাসপোর্ট কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি লাগবে।
আপাতত এই কাজই করা হবে,এনআইডি সংশোধনের কোনো কাজ কুয়েত দূতাবাস থেকে করা যাবেনা সেটিও জানিয়ে দেন তাঁরা।
সমাপনি বক্তব্যে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান উপস্থিত বাংলাদেশ থেকে আসা নির্বাচন কমিশনের কারিগরি দল, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সকল শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মে মাসের শুরুর দিকে এনআইডি প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
এছাড়াও সরকারের এনআইডি কার্যক্রম সফল করতে নির্ভুল তথ্য দিয়ে সহযোগিতার জন্য প্রবাসীদের অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
অন্যদিকে, “স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র করে,
পরিচয় দিন গর্ব করে”। এই স্লোগানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের লিফলেট প্রকাশ করা হয়।
এতে ভোটারযোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি তুলে ধরা হয়।
[ ] অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র (নিবন্ধন ফরম-২ক)
[ ] মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্ট
[ ] অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
[ ] সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
[ ] শিক্ষা সনদ (SSC/Equivalent Certificate/JSC/PSC) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
[ ] পিতা-মাতার এনআইডি/ মৃত্যু নিবন্ধন বা সনদ
[ ] নিকাহনামা/কাবিননামা এবং স্বামী/স্ত্রীর NID (বিবাহিত হলে)
[ ] ড্রাইভিং লাইসেন্স/টি.আই.এন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
[ ] নাগরিকত্ব সনদ (মেয়র/কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান/সিইও-ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ক্ষেত্রে)
[ ] ইউটিলিটি বিলের কপি (ভোটার এলাকা ঠিকানার বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস বিল/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ)
[ ] প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে প্রদত্ত দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ