গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০ জনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। হামলার একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক তাঁর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক চৌধুরী ইমদাদুল হক এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বেলা একটার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীই ‘আনারস’ প্রতীক দাবি করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে একটা সুরাহায় পৌঁছাতে ওবায়দুল্লাহর সমর্থক তারিকুজ্জামান লটারির মাধ্যমে প্রতীক নির্ধারণের প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা হইচই শুরু করে দেন। পরে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে।
ওবায়দুল্লার প্রচার শিবিরের মুখপাত্র আরিফ মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, লটারির প্রস্তাব দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর ৪০ থেকে ৫০ সমর্থক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে এসে সম্মেলনকক্ষে ঢুকে পড়েন। ওবাদুল্লাহসহ প্রায় ১০ জনকে চড়-কিল-ঘুষি মারেন। হামলাকারী ব্যক্তিরা তারিকুজ্জামানকে কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে মারধর করেন।
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আরে না, ওগুলো কিছু না। মানুষ বেশি হলে একটু হইচই তো হয়ই। তারপর লটারির কথা বলায় একটু হইচই বেশি হয়েছে। এর বেশি কিছু না। পরে আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে আনারস ও কাপ-পিরিচ বেছে নিই।’