স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট নব জাগরণ স্পোর্টিং ক্লাব কুয়েতের উদ্যোগে আজ ৭ই অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়েতের দাইয়া স্টেডিয়ামে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের উপর ঘাতক বদরুল কতৃক নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠক আবুল হাসেম এনাম, উপদেষ্টা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠক আব্দুস সেলিম,সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠক ময়নুল আল-ইসলাম, অগ্রদৃষ্টির প্রধান সম্পাদক আ,হ,জুবেদ, সংগঠনের সভাপতি মনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ফয়জুল হক কুটি, নোমান আহমেদ, আব্দুল মতিন, তাজ উদ্দিন, মিজানুর রহমান, আব্দুল মুমিন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, অবিলম্বে ঘাতক বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে বৃহত্তর সিলেট বাসিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, এমন বিচার নিশ্চিত করতে হবে যা দেখে ভবিষ্যতে অন্য কেউ যেনো এধরনের ন্যাকারজনক অপরাধ করার সাহস না পায়।
নৃশংস বর্বরতার শিকার খাদিজার প্রতিবেশী কুয়েত প্রবাসী ক্রীড়া প্রেমী আব্দুল মুমিন, খাদিজা বেগমের মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
তিনি অশ্রু ভেজা চোখে হায়দার হোসেনের সেই মর্মস্পর্শী গানটির কথা উল্লেখ করেন,
কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে শিক্ত?
কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদিপ্ত?
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধর্য্য?
নির্মমতা কতদুর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ?
আমি চিৎকার করি কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার।।
উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
আহত খাদিজা জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এমসি ক্যাম্পাসে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় কুয়েতে সকল রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ-সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং ঘটনার নায়ক বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।