ডেস্ক রিপোর্ট : নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজধানীর কোরবানির হাটে পশু উঠতে শুরু করেছে। নিয়ম অনুযায়ী গত বুধবার থেকে পশু হাটে আসার কথা ছিল। কিন্তু হাটে পশু আসা শুরু হয়েছে আরো এক সপ্তাহ আগে থেকেই। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি শুরু হবে কাল শুক্রবার থেকে।
তবে বেশির ভাগ হাটেই শত শত পশু আনা হয়েছে। যদিও কোনো হাটে এখনো ক্রেতার খুব একটা দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, দাম জিজ্ঞাসা করছেন। তবে কিনছেন কমই। একেবারে যে বিক্রি হচ্ছে না, তাও নয়। বিক্রেতারা বোঝানোর চেষ্টা করছেন, এবার কোরবানির পশুর সংকট হবে। তবে হাটের ইজারাদাররা বলেছেন, কোরবানির পশুর সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তারা জানান, গতবারও ঈদের সাত দিন আগে এত বেশি সংখ্যক গরু ঢাকায় প্রবেশ করেনি।
জানা যায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট বসছে ২২টি। এর বাইরে দেশের সর্ববৃহৎ গাবতলী পশুর হাট এবং নতুন সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকা সারুলিয়ার অস্থায়ী হাটে পশুর ব্যাপক সরবরাহ থাকবে।
ইজারাদার ও পশু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, কোরবানি উপলক্ষে রাজধানীর হাটগুলোতে পশু ওঠানোর সব প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু পশু এসে গেছে। আসার প্রক্রিয়ায় আছে অনেক পশু। বাকি পশু আগামী শুক্র ও শনিবারের মধ্যে উঠে যাবে। তাদের মতে, এবারের কোরবানির হাটে ৮০ শতাংশ থাকবে দেশি গরু।
জানা যায়, লালবাগ হাজী দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠে ভেতরে পশু রাখার প্রস্তুতি চললেও বেড়িবাঁধ সড়কের একাংশে পশু উঠিয়েছে ব্যবসায়ীরা। শনিবারের মধ্যে ওই হাট পশুতে ভরে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রামপুরার মেরাদিয়া বাজার হাটেও তিন দিন আগে থেকে পশু আসা শুরু করেছে। গতকাল সকালে কয়েকটি ট্রাকভর্তি পশু নামানো হয়েছে এ হাটে। মেরুল বাড্ডা আফতাবনগর হাটেও বেশ কিছু পশু এসেছে। এ হাটের মূল ফটকে নানা রঙের আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহমেদ জানান, নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময় ও স্থানের বাইরে পশু রাখার সুযোগ নেই। তবে ঈদ একটি বড় ধর্মীয় উৎসব। জনসাধারণের সুবিধার্থে অনেক নিয়ম মানতে বাধ্য করা যায় না। এর পরও প্রতিবছরের মতো এবারও কোরবানির হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভেটেরিনারি টিম মাঠে থাকবে।
একাধিক হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় হাজারীবাগ-জিগাতলা সড়কে দেখা গেল বাঁশ-খুঁটি পুঁতে শতাধিক গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। ইজারাদারের লোকজন সড়কটিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু হাজারীবাগ পশুর হাট নয়, এ চিত্র রাজধানীর অস্থায়ী বেশির ভাগ হাটেরই।
ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, কোনো ইজারাদার ইজারার শর্ত ভাঙলে প্রচলিত আইনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য হাটগুলোতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।