আ হ জুবেদঃ আজ ২১ শে আগস্ট মঙ্গলবার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ন্যায় প্রায় ৩লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীর কর্মস্থল কুয়েতেও দেশটির বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া অঞ্চলের বড় মসজিদে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার প্রবাসীরা একসাথে স্থানীয় সময় সকাল ৫:৪০ মিনিটে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।
কুয়েতে সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কুয়েতের জাতীয় মসজিদ ‘’মসজিদ আল কাবিরে’’
গতকাল ২০ শে আগস্ট পবিত্র হজ্ব পালনের পর আজ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে ঈদুল আযহা পালিত হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের ন্যায় কুয়েতেও এদিনটির প্রথম আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো ঈদের নামাজের মধ্যদিয়ে।
কুয়েতে বেশ কয়েকটি মসজিদে ঈদের জামায়াতে বাংলা খুৎবা পাঠ করা হয়। যথাক্রমে, খারেজা বিন জায়েদ, সালেহ আল ফাদালা, উসমান বিন আফফান, সালেহ আল নামাশ, আতিকী, ওমর বিন খাত্তাব (রঃ), নাদী ফুরুসিয়া, নাসের বেদাইনসহ আরো বেশ কয়েকটি মসজিদে।
দেশটির বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া বড় মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা কুয়েত প্রবাসী মিশরীয় নাগরিক বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মার কল্যাণ কামনা করেন।
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি ও ঈদ মানে পরিবার- পরিজনের সাথে খুশি-আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া, কিন্তু দূর দেশে থাকা প্রবাসীদের জীবনে এই সুযোগটুকু অনেক সময় হয়ে উঠেনা। তবুও প্রবাসীদের প্রাপ্তির চেয়ে প্রত্যাশা বেশি, আর সেই প্রত্যাশা দেশে থাকা আত্মীয় স্বজনরা যেনো ভালো থাকে।
কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মস্থল দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হলেও সিংহভাগ প্রবাসীরা হাসাবিয়া এলাকায় বসবাস করছেন।
প্রতিবারের ন্যায় এবারো এই এলাকার প্রবাসীরা এক সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দিত, আর এই আনন্দে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও ভুলে গেছেন দূর দেশে থাকার কষ্ট।
এদিকে ঈদের জামায়াতে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে কুয়েতের প্রতিটি মসজিদে দোয়া করা হয়।
ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় পশু কোরবানি করে থাকেন।
কুয়েতেও প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাঁদের সাধ্যমতো দুম্বা ও গরু কোরবানি দিয়েছেন।