আ,হ,জুবেদঃ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
১৮ই আগস্ট ২০১৬ইং রোজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কুয়েত সিটিস্থ সুইচ প্লাজা হোটেলে আতাউল গনি মামুনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এস,এম আবুল কালাম।
জাতীয় শোক দিবসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পর বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর সাধারণ আলোচনায় কুয়েত আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য পেশার নেতৃবৃন্দরা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন এবং বাঙালী জাতির জন্য তাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।পাশাপাশি কুয়েত আওয়ামীলীগে বর্তমান বিবদমান দ্বন্দ্ব, কোন্দল নিরসনে রাষ্ট্রদূতের ঐকান্তিক চেষ্টা ও সহযোগিতা কামনা করেন নেতৃবৃন্দরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুয়েত আওয়ামীলীগের সর্বস্থরের নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত এস,এম আবুল কালাম তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্নাঢ্য জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন মাত্র ৪৪ মাসের স্বল্প মেয়াদে বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়কদের কাতারে সামিল হন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরো বলেন, অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতীক। তিনি শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা উত্তর আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ের তার প্রজ্ঞা রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি তাকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে।প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত এস,এম আবুল কালাম কুয়েত আওয়ামীলীগ প্রসঙ্গে বলেন, কুয়েত আওয়ামীলীগে বিবদমান রাজনৈতিক কোন্দল ও নানাবিধ জটিলতার কথা আমি শুনেছি।
সুতরাং বলতে চাই যে, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে ভালোবাসলে, এসবকিছু ভুলে যেতে হবে- বলে যোগ করেন রাষ্ট্রদূত।
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত কুয়েত আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করেন, যে কমিটির মাধ্যমে আগামী ২থেকে ৩মাসের মধ্যে সাংগঠনিক নিয়ম, শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাউন্সিলের আয়োজন করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সাথে শাহাদাত বরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।