নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুয়েতে অগ্নিকান্ডে প্রাণহানী ৫প্রবাসীর মৃতদেহের জানাজার নামাজ কুয়েতে সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার।
কুয়েতের সুলাইবিয়াখাত এলাকায় লাশ গুলোর গোসল ও কাফন পড়ানো শেষে প্রথম জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে সেখানেই এবং দ্বিতীয় জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে কুয়েতের সাবাহ হাসপাতালের হিমঘর প্রাঙ্গণে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানাগেছে, মরদেহ গুলো কুয়েত প্রবাসী জুনায়েদের গ্রামের বাড়ী কমলগঞ্জের কান্দিগাও গ্রামের আত্বীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা গ্রহণ করেছেন।
গত১৬ই অক্টোবর সোমবার কুয়েতে অগ্নিকান্ডে জুনায়েদ পরিবারের ৫ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসিরা গভীর শোকাহত।
গতকাল ১৮ই অক্টোবর বুধবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের জানাজার নামাজে যোগ দিতে কুয়েতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত প্রবাসীরা এসেছিলেন সুলাইবিয়াখাত ও সাবাহ হাস্পাতাল এলাকায়।
এদিকে জানাজার নামাজ শেষে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ১৮ই অক্টোবর রাত ১টার ফ্লাইটে নিহতদের লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে।
১৯ই অক্টোবর সকাল ৯টায় হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিহতদের লাশ জুনায়েদ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা গ্রহণ করেছেন বলে জানাগেছে।
এদিকে কুয়েতে জুনায়েদ পরিবারের নিহতদের জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করতে আসা কুয়েত প্রবাসীরা দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা কুয়েতে এই প্রথম ঘটেছে, আমরা স্বজন হারানো জুনায়েদ এর দুঃখের সময় সাথে থাকতে চাই।
জুনায়েদের দেশের বাড়ি কমলগঞ্জে নিহতদের সমাধিস্থ করার প্রস্তুতি সম্পর্কে কমলগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান এর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , কমলগঞ্জে মরদেহ গুলো এসে পৌছানোর পর পরই ধর্মীয় নিয়মানুসারে মরদেহ গুলো সমাধিস্থ করার জন্য সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে কুয়েত বাংলাদেশ কমিনিটি নেতা ও সংগঠক মিঠুন সেলিম অগ্রদৃষ্টিকে সব ধরনের তথ্য প্রদান করে সর্বাত্বক সহযোগিতা করছেন, তিনি লাশবাহী গাড়ীর সঙ্গে কমলগঞ্জে পৌছেছেন এবং জুনায়েদ পরিবারকে সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ১৬অক্টোবর কুয়েত সময় ১টা ৩০মিনিটে আকস্মিক কুয়েত প্রবাসী জুনায়েদ আহমেদের বাসায় ভয়াবহ একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান প্রবাসী জুনায়েদের স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য ৪ সদস্য। এ সময় জুনায়েদ কর্মস্থলে ছিলেন।
৫তলা এই ভবনের চতুর্থ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, জুনায়েদের পরিবার পঞ্চম তলায় থাকতেন, চতুর্থ তলা ও পঞ্চম তলায় থাকা অন্যান্য ভাড়াটেরা নিরপদে দুর্ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে পারলেও জুনায়েদের পরিবার রোম থেকে বেরুতে পারে্ননি, ফলে তাদেরকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে।