একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (দুই-তৃতীয়াংশ আসন) পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে ২৯৮টি আসনের মধ্যে এককভাবে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে দলটি।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের শরিক দল জাতীয় ২০টি, বিএনপি ৬টি, গণফোরাম ২টি, বিকল্পধারা ২টি, জাসদ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, তরিকত ফেডারেশন ১টি এবং স্বতন্ত্র ৩টি আসন পেয়েছে। মোট ৩০০ আসনের মধ্যে একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে আর আরেকটি আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়াতে নির্বাচন হয়নি।
মূলত ভোটের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ধারের কাছেও যেতে পারেনি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে থাকা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এর আগে, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির বর্জনের মধ্যে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৬৩টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। যার মধ্যে ১৫৪টি আসনের প্রার্থীদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৬৩টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৩০টি আসন।
ওই নির্বাচনে বিরোধীদলে থাকা বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট পেয়েছিল ৩৩টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করে ৪টি আসনে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৮ নভেম্বর। এরপর একবার পুনঃ তফসিল করা হয়। এর ফলে ভোটের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একক দল হিসেবে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিকে আসন পেয়েছিল।
১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন লাভ করেছিল।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। মোট অংশ নেয়া দলের সংখ্যা ৩৯টি।