মুহিত চৌধুরী: আধুনিক ও ডিজিটাল সিলেটের স্বপ্নদ্রষ্টা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি দায়িত্ব গ্রহনের এখনও এক বছর পার হয়নি অথচ তাঁর সফলতার ঝুলি পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সিলেট নগরীর উন্নয়নে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪শে ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই প্রকল্প পাশ হয়।
এতো বড় একটি বরাদ্দ পাওয়ার পিছনে কলকাটি নেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মূলত তাঁর প্রচেষ্টায়ই এটি সম্ভব হয়েছে। আর সে জন্য অনেকেই বলছেন এটি ড. মোমেনের এ বছরের শেষ চমক।
নির্বাচনের পূর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিলো, ডিজিটাল সিলেট, ঢাকা-সিলেট ৬ লেন সড়ক নির্মাণ, সিলেট ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন,সিলেট-ঢাকা,সিলেট-চট্রগ্রাম রেলে নতুন বগি সংযুক্ত করা এবং রেল লাইনের উন্নয়ন ইত্যাদি।
ইতোমধ্যে এই সব প্রকল্পের কাজ কোনটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ‘ডিজিটাল সিলেট’ এবং ওসমানী বিমানবন্দরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ঢাকা-সিলেট ৬ লেন সড়ক কাজের অর্থ ছাড়ে সম্মতি দিয়েছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক এডিবি।প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ১৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। সিলেটের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে ২৫০ শয্যার সিলেট জেলা হাসপাতালের কাজ শুরু হয়েছে। সিলেট-ঢাকা রেল পথের উন্নয়নের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ডিও লেটার দিয়েছিলেন। তারই সুফল সিলেটবাসী পেতে শুরু করেছেন। সিলেট-চট্টগ্রাম,সিলেট-ঢাকা রুটে যুক্ত হচ্ছে নতুন বগি। চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে একটি নতুন ট্রেনও চালু হচ্ছে।
সিলেটকে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের অনেক স্বপ্ন। আধুনিক সিলেট ও ডিজিটাল সিলেট গড়ার লক্ষকে সামনে নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনেও তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং বিচক্ষণ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছেন। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেমন অত্যন্ত আস্থাভাজন তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের কাছেও একজন কর্মনিষ্ঠ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত।
দেশের উন্নয়নে কূটনীতির সাথে অর্থনীতিকে জুড়ে দেয়ার তিনিই পথ প্রর্দশক।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহনের পরই তিনি বলেছিলেন,
‘২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৩০ সাল নাগাদ সকল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাসহ প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিভিন্ন ভিশন বাস্তবায়ন এবং এর কাজ ত্বরান্বিত করতে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর বেশি জোর দেওয়াই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’
সে লক্ষ নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন,বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদেশী বিনিয়োগ এবং দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করতে ড. মোমেন সারা বিশ্বে চষে বেড়াচ্ছেন। এক দেশের সফরের ক্লান্তি দূর হবার আগে আরেক দেশে দৌড়াচ্ছেন। যার ফলে ইতোমধ্যে বিদেশেী বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা সংকট এবং রেমিটেন্স প্রবাহে অনেক ইতিবাচক সাড়া লক্ষ করা যাচ্ছে।
সূত্র, দৈনিক সিলেট