বিভাগীয় প্রতিনিধি :: সিলেটে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহীদের দাপট কমাতে তাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে অংশ নেয়া বিদ্রোহী হওয়া ১৩ প্রার্থীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃতদের পক্ষে যেসব নেতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ার করা হয়েছে।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী ও তাদের মদদদাতাদের কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থীদের পেছন থেকে যেসব নেতা মদদ দিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
চতুর্থ দফায় সিলেটের তিনটি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথে ৫ জন, দক্ষিণ সুরমায় ৪ জন ও গোলাপগঞ্জে ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। গত সোমবার রাতে বিদ্রোহী এই ১৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।
বিশ্বনাথ উপজেলার বহিস্কৃত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- দেওকলসের ফখরুল ইসলাম মতছিন, বিশ্বনাথ সদরে ছয়ফুল হক, খাজাঞ্চিতে পীর লিয়াকত হোসেন, রামপাশায় আজিজুর রহমান, দৌলতপুরে আসাব উদ্দিন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বহিস্কৃতরা হলেন মোগলাবাজারে চুনু মিয়া, দাউদপুরে নূরুল ইসলাম আলম, সিলামে এম কে করিম কাওসার ও মুজিবুর রহমান।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বহিস্কৃতরা হলেন- সদরে আবদুস সামাদ জিলু, ভাদেশ্বরে রুমেল সিরাজ, ল²নাবন্দে আশরাফুজ্জামান আশু ও ল²ীপাশায় কবীর আহমদ মোশন।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন- আওয়ামী লীগ করতে হলে শেখ হাসিনার নির্দেশ মানতে হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী নয়। যারাই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন তাদেরকে খেসারত দিতে হবে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের কেউ ইন্ধন বা সহযোগিতা করলে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।