আ হ জুবেদঃ ”পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ- আলস্যে দারিদ্রতা আনে, পাপে আনে দুঃখ” বহুল প্রচলিত এ কথাগুলো কমবেশি সবারই জানা।
আসলেই পরিশ্রম মানুষকে সুখ আর ধন এনে দেয়। তবে পরিশ্রম করার জন্য দরকার কাজের প্রতি আগ্রহ।
কাজের প্রতি ভালোবাসা আর অদম্য আগ্রহ কুয়েত প্রবাসী গাজী মোহাম্মদ এনামুল হককে এনে দিয়েছে ব্যবসায়িক সফলতা।
গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক কুয়েত প্রবাসী একজন সফল ব্যবসায়ীর নাম। ১৯৮৭ সালে কুয়েতে পাড়ি জমানো প্রবাসী এ ব্যবসায়ী একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে প্রবাস জীবন শুরু করেন।
শ্রম আর কর্মদক্ষতায় একসময় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ীর তালিকায় নাম লেখান।
আল হাবিবা রেডিমেট গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানির স্বত্বাধিকারী গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক কুয়েতে বসবাস করছেন ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
ব্যবসা পাগল এ মানুষটির কুয়েত বাংলাদেশ কমিউনিটিতে খুবেকটা পরিচিতি নেই, কারণ ব্যবসায়ী গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক ব্যবসার কাজে এদেশ থেকে সেদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের বহু দেশ।
গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা এ ব্যবসায়ী বর্তমানে প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের মালিক।
এদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক গাজী মোহাম্মদ এনামুল হকের কুয়েতে ফরওয়ানিয়া এলাকার রাউইয়া মার্কেটে আল হাবিবা রেডিমেট গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে আসেন বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
কুয়েত দূতাবাসের এ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আল হাবিবা গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে গাজী মোহাম্মদ এনামুল হকের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তুলা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক একজন ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবসায়ী, তার ব্যবসার ধরন দেখেই বুঝা যাচ্ছে তিনি একজন পরিশ্রমী সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা।
কাজেই এ ব্যবসায়ীকে অনুসরণ করে অন্যরাও ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হবেন এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কাউন্সেলর আনিসুজ্জামান।
১০ বছর বয়সে বাংলাদেশে ব্যবসায়ী বাবার হাত ধরেই বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতেন গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক। কুয়েত আসার পর সেই ব্যবসার নেশাটিকে তিনি পেশা হিসেবে নেন এবং এই কুয়েতেই ব্যবসায় সফলতার মুখ দেখেন এনামুল।
সাধারণ শ্রমিক হিসেবে ১৯৮৭ সালে কুয়েতে পাড়ি জমানো গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক বর্তমানে একে একে কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে তুলেছেন পোশাক শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মধ্যপ্রাচ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েছেন এনামুল।
কুয়েতের ফরওয়ানিয়া এলাকার প্রায় ৪’শ শতাধিক টেইলারিং দোকানের বিভিন্ন সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তা মেটাতে আল হাবিবা রেডিমেট গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক।
সঠিক ব্যবসা নীতিতে বিশ্বাসী এ ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের ইঙ্গিত করে বলেন, বেতন নেয়ার সময় একটু বেশি’ই নিয়ে নাও, হয়তো এজন্য মাফ আছে, কিন্তু এখান থেকে অবৈধপথে টাকা নিয়ে তোমার পরিবারকে খাওয়ালে এর মাফ পাবেনা, আখেরাতে এর জবাব দিতে হবে।
এদিকে আল হাবিবা রেডিমেট গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানির বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে আসা বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী এনামুল।
গাজী মোঃ এনামুল হকের ব্যবসায়ী বন্ধু এমডি সেলিম আল হাবিবা রেডিমেট গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে বন্ধুর প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে কুয়েতের ফরওয়ানিয়া এলাকার রাউইয়া মার্কেটের অন্যান্য প্রবাসী ব্যবসায়ীরাও তাঁদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে আসা বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের কাউন্সেলর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানান।
১৯৮৭ সালে কুয়েতে পাড়ি জমানো প্রবাসী ব্যবসায়ী গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক শ্রম ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে আল হাবিবা রেডিমেট গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানির অংশ হিসেবে আরো বেশ কয়েকটি কোম্পানি গড়ে তুলেন যথাক্রমে, আল হাবিবা টেক্সটাইল কোম্পানি, আল হাবিবা লেসেস্ ও এক্সেসরিজ কোম্পানি, আল হাবিবা সুজ কোম্পানি,আল হাবিবা ফেব্রিক্স হোল সেলার কোম্পানিসহ ইত্যাদি।
ব্যবসায়ী গাজী মোহাম্মদ এনামুল হক ব্যবসায়িক কাজে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করছেন এবং আল হাবিবা রেডিমেট গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানির উন্নতির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।