আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মিরে সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে কর্মকর্তাসহ ভারতীয় চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক শিশুসহ অন্য পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল (রবিবার) বিকেলে রাজৌরি জেলার ভিম্বার গলি সেক্টরে ভারত-পাক সেনাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলিবর্ষণ শুরু হয়। পাকিস্তান সেনা বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন কপিল কুণ্ডু (২২), হাবিলদার রোশন লাল (৪২), রাইফেলম্যান রাম অবতার (২৭) এবং রাইফেলম্যান শুভম সিংহ (২৩) নিহত হয়েছেন।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) জম্মু-কাশ্মির বিধানসভায় তুমুল গোলযোগ সৃষ্টি হলে স্পিকার কবিন্দর গুপ্তা কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।
সোমবার বিধানসভার কাজ শুরু হতেই বিজেপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়করা পাকবাহিনীর গুলিবর্ষণে সেনা সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানান। বিজেপি বিধায়ক রবিন্দর রায়না পাকিস্তানবিরোধী স্লোগান দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক দেবেন্দর সিং রানা এবং বিধায়ক আলী মুহাম্মদ সাগর স্পিকার কবিন্দর গুপ্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সীমান্তে একনাগাড়ে গোলাগুলি বর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বিবৃতি দাবি করেন। কতদিন ধরে এসব চলবে- বিধানসভায় এ প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন তারা।
অন্যদিকে, কুলগাম এলাকায় সেনাবাহিনীর গুলিতে এক তরুণ আহত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায় আলতাফ কালু। বিরোধী সদস্যরা এসময় ‘মোদি সরকার, হায়! হায়!’, ‘পিডিপি-বিজেপি সরকার হায়! হায়!’, ‘আরএসএস সরকার হায় হায়!’ স্লোগান দেন।
ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়করা বিজেপি সদস্যদের উদ্দেশ্যে ‘আপনাদের ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি কোথায় গেল’ বলে কটাক্ষ করেন। বিধানসভার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্পিকারকে দশ মিনিটের জন্য অধিবেশনের কাজ মুলতুবি করে দিতে হয়