এম এস ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ এক ঝাঁক তরুন মেধাবীদের নিয়ে মানবাধিকার ও সুশাসন সংস্থা ডেমক্রেসিওয়াচের উদ্যেগে চারদিন ব্যাপী একটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং প্রােগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগী সংগঠন হিসাবে ডেমক্রেসিওয়াচ এই ট্রেনিং বাস্তাবায়ন করছে।
গত ২৮ মার্চ সোমবার থেকে ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেমক্রেসিওয়াচের অডিটরিয়াম রুমে চারদিন ব্যাপী একটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং প্রােগ্রাম সম্পন্ন হয়।
ডেমক্রেসিওয়াচের একটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং প্রােগ্রাম কাে-অর্ডিনেটর ফাতেমাতুল বতুলের উপস্থাপনায় ট্রেনিং এর সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট কলামিষ্ট, সাংবাদিক ও লাল গোলাপ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শফিক রেহমান এবং ডেমক্রেসিওয়াচের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক তালেয়া রেহমান।
ঢাকা ইউনির্ভাসিটি সহ অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী ইউনির্ভাসিটিরি ২৫ জন ছাত্রছাত্রী ট্রেনিং এ অংশ গ্রহন করেছে।
ট্রেনিং এ ফ্যাসিলিটেটর হিসাবে ছিলেন, ফাতেমাতুল বতুল, রাকিবুল ইসলাম খান ও কামরুল ইসলাম।
চার দিনের ট্রেনিং এর অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে আকলিমুন্নেছা রিম্পি বলেন, একটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং আমাকে নতুন করে চিন্তিা করতে ও ভাবতে শিখিয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ডেমক্রেসিওয়াচ এমন একটি উদ্যেগ নিয়েছে যেটা শুধু মাত্র স্বাভাবিক মানুষের জন্য উদ্বুদ্ধ করে না বরং অক্ষম ব্যক্তিকেও উদ্বুদ্ধ করে। প্রেজেন্টেশেন, নেগোসিয়েশন, পাবলিক স্পিকিং, প্রজেক্ট ডেভলাপমেন্ট সব ক্ষেত্রে কিছুনা কিছু উন্নতি হয়ছে। আমরা আশা করি এখন থেকে আমরা একটিভ সিটিজেন হয়ে দেশে ও বিশ্বের সেবায় নিয়োজিত হতে পারবাে। এই ট্রেনিং এর আয়ােজন করার জন্য ডেমোক্রেসিওয়াচ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানায়।
আরেক জন ট্রেনিং এ অংশগ্রহনকারী মুন্নাফ রশিদ অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, নাগরিক হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যকের স্থান থেকে সক্রিয়, তবে সচেতন না। আমি এখানে এসে সক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় সেটা জানতে পেরেছি। নিজেকে জানা, সমৃ্দ্ধ করা, নিজের দেশ, সংস্কৃতি এবং অন্যকে জেনে নিজের প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে সক্রিয় সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালন করতে হয় সেটা জানতে পেরেছি।
একটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং প্রােগ্রাম কাে-অর্ডিনেটর ফাতেমাতুল বতুল বলেন, একটিভ সিটিজেনস ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং বরাবরই একটি আনন্দদায়ক ট্রেনিং, যার মধ্য দিয়ে আমরা পারস্পরিক চিন্তা ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে পারি। এবারের ট্রেনিং টি ছিল বৈচিত্রময় অংশগ্রহন কারীদের কার্যক্রম মুখর। বিশেষত, দুইজন বিশেষভাবে অক্ষম অংশগ্রহনকারীদের পেয়েছি। এছাড়াও একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যে কিনা পথ শিশু ছিল। এমনকি জীবন সংগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির র্পবে রিকশা চালিয়ে সংসারে ভার কাঁধে তুলে নিয়ে ছিল। তার জীবনের অনুভূতি ছিল অনুপ্রেরণামূলক। আমি শুধু একটা লিডারশীপ ট্রেনিং বলবাে না, আমি একে মানুষ গড়ার কারিগর বলবাে।
বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও সাংবাদিক ও লাল গোলাপ অনুষ্ঠানের উস্থাপক শফিক রেহমান বলনে, আমাদরে সমাজটা যদি একটা নদী হয়, তাহলে তরুন প্রজন্ম সেই নদীর স্রোত। তাদেরকে যে দিকে পথ করে দেওয়া হবে সেদিকেই তাঁরা প্রবাহিত হবে। সব কিছু ভেঙেচুরে সামনের দিকে এগিয়ে চলবে। নিজের ইচ্ছা থাকা সত্তেও তাঁরা নিজেকে বিপরিত দিকে নিয়ে যেতে পারবো। ট্রেনিং এ অংশগ্রহনকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সবাইকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখার আহৃবান জানান।
চার দিনের টেনিং এ অংশগ্রহনকারীরা সম্মিলিত ভাবে ভেঙ্গে পড়া তরুনদের অনুপ্রেরণা মূলক সামাজকি প্রকল্প বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নেয়।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এসএসআই